মুদি দোকানির ১ মাসের বিদ্যুৎ বিল ৯ লক্ষাধিক টাকা!

ময়মনসিংহের গৌরীপুরের কোনাপাড়া গ্রামের আলাল উদ্দিনের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন একজন মুদি দোকানি। তিনি পিডিবির বিদ্যুৎ গ্রাহক। তার নভেম্বর মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৯ লাখ ২৪ হাজার ৩২৭ টাকা। অক্টোবর মাসেও বিদ্যুৎ বিল এসেছিল ৮ হাজার ১১৪ টাকা। ব্যবহৃত ইউনিট ছিল ১২৯৬০। কিন্তু এক মাসে রিডিং ৯৩ হাজার ৮১৪ ইউনিট উঠে যায়। বিদ্যুৎ বিভাগে আবেদন করেও কোনও প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জা’নান তিনি।

একই গ্রামের মৃ’ত তালে হোসেনের ছেলে মো. হযরত আলী জা’নান, জানুয়ারি মাসে তার বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৭১ টাকা। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে বিল হয়েছে ১৩ হাজার ৬৪৭ টাকা। একই গ্রামের গুজন আলীর ছেলে আব্দুল খালেক জা’নান, জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ৬০৩ টাকা আর ফেব্রুয়ারি মাসে ১৮ হাজার ১০০ টাকা বিল এসেছে তার।

আফিস আলীর ছেলে মো. নবী হোসেন জা’নান, জানুয়ারি মাসে বিদ্যুৎ বিল এসেছে ৩৯৩ টাকা। অথচ ফেব্রুয়ারি মাসে বিল হয়েছে ২৬ হাজার ৬০১ টাকা। নিখিল চন্দ্র ধ’রের ছেলে নন্দন চন্দ্র ধ’র জা’নান, জানুয়ারি মাসে ১ হাজার ১৪৩ টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসে বিল এসেছে ৫ হাজার ৫১২টাকা।

জনু শেখের ছেলে রোমালী মণ্ডল জা’নান, জানুয়ারি মাসে ৫৪৩ টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৯ হাজার ২৭৯ টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে। একই গ্রামের আবুল কালামের অ’ভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন মিটার না দেখেই ‘ভুতু’ড়ে’ বিল করছেন। তার মিটার রিডিং ১২ হাজার ১৫৫ ইউনিট, অথচ বিল করা হয়েছে ১৬ হাজার ২৩৫ ইউনিটের।

ময়মনসিংহের গৌরীপুর বিদ্যুৎ বিভাগের দু’র্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করলেও কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অ’ভিযোগ গ্রাহকদের। অবিলম্বে তারা ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল প্রত্যাহারের জো’র দা’বি জা’নিয়েছেন। শুক্রবার (১২ মা’র্চ) উপজে’লার ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের কোনাপাড়া কদমতলী বাজারে বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মু’ক্তিযোদ্ধা মো. ফজলুল হক।

তিনি বলেন, যত ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করব, শুধু তার বিল দেব। অতিরি’ক্ত বিদ্যুৎ বিল অবিলম্বে প্রত্যাহার ক’রতে হবে। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন মু’ক্তিযোদ্ধা মো. হাসিম উদ্দিন, মো. মফিজ উদ্দিন, ২নং গৌরীপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী, উপজে’লা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল কর, উপজে’লা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. মিজানুর রহমান, গৌরীপুর পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ।

এ বিষয়ে পিডিবির গৌরীপুর আবাসিক প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) নিরঞ্জন কুন্ডু সাংবাদিকদের জা’নান, অনুমোদনবিহীন কাজে বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য আ’ইনের ৩৮ ধারায় গ্রাহকদের এ জ’রিমানা করা হয়েছে। আবাসিক সংযোগ নিয়ে সেচ বা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের কারণে তদ’ন্তসাপেক্ষে এ ব্যব’স্থা নেয়া হয়েছে। তবে কোনো অসঙ্গতি ধ’রা পড়লে বিল ঠিক করে দেওয়া হবে বলেও জা’নান তিনি।