মিষ্টি আলু, বিভিন্ন রঙের প্রাকৃতিক চিনি সমৃদ্ধ এবং পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এটি আপনার হার্ট ও ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করে, দৃষ্টিশক্তি সুরক্ষিত রাখে, টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায় এবং অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
এক গবেষণায় দেখা গেছে, দৈনিক প্রোটিন চাহিদার ৮০ শতাংশ পূরণ করে মিষ্টিআলু। তবে অনেকেই গোল আলুর থেকে মিষ্টি আলুকে আলাদা করে রাখেন। আসলে গোল আলুর সকল স্বাস্থ্য উপকারিতাই মিষ্টি আলুতে রয়েছে। এছাড়াও মিষ্টি আলু আরো কিছু উপকার করে। যা জানবো আজকের প্রতিবেদনে,
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি রয়েছে। তাই এই আলু সাধারণ আলুর চেয়ে অনেক বেশি পুষ্টিকর। মিষ্টি আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সও খুব কম, তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশ উপকারী।
মিষ্টি আলুতে রয়েছে এমন কিছু শক্তিশালী উপাদান যা রক্ত পরিশোধনে সাহায্য করে। বেটা-ক্যারোটিন সমৃদ্ধ এ আলুতে রয়েছে ভিটামিন সি যা শরীরে বলিরেখা পড়তে দেয় না সহজে।
মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম রয়েছে। পটাসিয়াম হার্টের রোগ থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি মাংসপেশির যত্ন নেয়।
মিষ্টি আলু প্রাকৃতিকভাবে মিষ্টি হয়, যা রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। প্রাকৃতিক চিনি কাজের শক্তি প্রদান করে অবসাদ, ক্লান্তি দূর করে থাকে।
ফাইবারজাতীয় খাবার মিষ্টি আলু রাখতে পারেন ডায়েট চার্টে। এটি অনেকক্ষণ পেটে থাকে। ফলে সহজে ক্ষুধা লাগে না। আবার শরীরও থাকে সুস্থ।
যেসব রক্তকোষ অক্সিজেন বহন করে, তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ায় আয়রন সমৃদ্ধ মিষ্টি আলু। মিষ্টি আলুতে রয়েছে ভিটামিন ডি যা হাড় শক্তিশালী করে। ত্বক ও চুল ভালো রাখতে চাইলে নিয়মিত মিষ্টি আলু খাওয়ার বিকল্প নেই।
এক গবেষণায় জানা যায়, বেগুনি রঙের মিষ্টি আলুতে অ্যান্টি-ক্যানসার উপাদান থাকে। এতে অ্যান্থোক্যায়ানিন থাকে যা ব্লাডার ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার রোধ করে।