মেয়াদোত্তীর্ণ মেকআপ কাজে লাগান !

অনেক দাম দিয়ে মেকআপ কিনেছেন। কিন্তু ব্যবহার করতে না করতেই তার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছে? চিন্তা করবেন না। রইল কিছু টিপস, যার সাহায্যে আপনি ওইসব মেকআপগুলোকে অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারবেন।

যদিও এমন কিছু প্রোডাক্ট আছে, যেগুলো এক্সপায়ার্ড হওয়ার পরেও ব্যবহার করা যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ মেক-আপগুলোকে, ত্বকে না লাগিয়েও আপনার কাছে অনেক উপায় আছে সেগুলিকে পুনঃব্যবহার করার।

কেক প্রোডাক্টস

কেক প্রোডাক্টগুলো ব্যবহার করার মেয়াদ তাড়াতাড়িই শেষ হয়ে যায়, আর এগুলো চোখের চারপাশে বা গালে লাগানো নিরাপদ না। এই কেক প্রোডাক্টগুলো দিয়ে, হ্যালোইনের সময়ে আপনার মুখের জন্য মোটা মুখোশ বানানো যায়। খেয়াল রাখবেন যে আপনার কেক প্রোডাক্টটি দীর্ঘ সময় ধরে এক্সপায়ার্ড না হয়ে গিয়ে থাকে। আর এর থেকে দুর্গন্ধ না বেরোতে থাকে। এটা যেন সদ্য মেয়াদোত্তীর্ণ হয় বা এমন কোন প্রোডাক্ট হয় যেটা আপনি আর ব্যবহার করতে চাইছেন না। এটা ব্যবহার করে আপনি একটি ক্রিয়েটিভ ও রিয়ালেস্টিক হ্যালোইন মাস্ক তৈরি করতে পারবেন।
সুগন্ধি

৩-৪ বছরের পুরানো পারফিউম আর এই মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণ হল ঠিকভাবে সংরক্ষণ না করা। একবার মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে পারফিউম আর ব্যবহার করতে নেই, কারণ এটি আপনার ত্বকের ক্ষতি করতে পারে বা জামাকাপড়ে দাগ ফেলে দিতে পারে। তার বদলে, এক্সপায়ার্ড পারফিউমকে রুম ফ্রেশনার বা টয়লেট ফ্রেশনার হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এরফলে আপনার প্রতিবারই আপনার ঘর ফ্রেশ আর সুগন্ধে ভরে থাকবে।

পাউডার

মেয়াদোত্তীর্ণ পাউডারকে বিভিন্ন কারুশিল্পে বা তারও পরে অনেক কিছুতে ব্যবহার করা যায়। ক্রাফট-পেপারে কিছুটা ফাউন্ডেশন বা বেবি-পাউডার দিলে তা দেখতে ফ্রেশ ও ভালো লাগে। পাউডারের ফাউন্ডেশনে উপস্থিত চকচকে কণাগুলোর জন্য, ক্রাফট পেপারে পাউডার লাগালে ক্রাফট পেপার জেল্লাদার ও চকচকে হয়ে যায়। এছাড়াও গোড়ালিতে ফোস্কা পরা এড়াতে এক্সপায়ার্ড পাউডার ব্যবহার করা যেতে পারে।

লিপবাম

যন্ত্রণাদায়ক অবস্থায়, গোড়ালির ভেতরের দিকে এক্সপায়ার্ড লিপবাম মেখে নিতে পারেন। সেইসব নারীরা যারা হামেশাই ফোস্কা বা জুতোয় কাটার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন, তারা কিছুসময়ের জন্য জুতোতে লিপবাম লাগিয়ে রেখে দিতে পারেন। এটি ঘষা খাওয়া থেকে বাঁচাবে এবং আপনাকে আরামে হাঁটতে দিবে।

আই লাইনার

শুকিয়ে যাওয়া বা মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যাওয়া আই লাইনার, আপনার পেইন্টিং-কে বর্ডার দেওয়ার জন্য চমৎকার পেন্সিল হিসেবে কাজ করতে পারে। বিশ্বাস করুন, কোন ছবির বর্ডার দিতে, স্কেচপেনের তুলনায় আই লাইনার ব্যবহার করা অনেক সহজ। এছাড়াও, আপনার কাছে যদি মোটা তুলি থেকে থাকে, তবে লাইনার আঁকাতে রং ভরার কাছেও ব্যবহার করা যায়। এর দারুণ ছুঁচালো কিনারার জন্য, লাইনার দিয়ে দেওয়ালেও নিখুঁতভাবে আঁকা যায়। এগুলোকে সহজেই মুছে ফেলা যায় ও ছবিতেও একটা জেল্লা এনে দেয়।

আইশ্যাডো

একটা মেয়াদোত্তীর্ণ আইশ্যাডো দিয়ে আপনি নিজেই আপনার নেলপলিশ বানিয়ে ফেলতে পারেন। যদি আপনার কাছে একটা গোটা এক্সপায়ার্ড আইশ্যাডো প্যালেট থেকে থাকে, তবে আপনি প্যালেটের প্রতিটি কালার ব্যবহার করে একটি নতুন নেলপলিশ বানিয়ে ফেলতে পারবেন। একটা স্বচ্ছ টপ-কোট নিন ও এর সঙ্গে আপনার পছন্দমতো আইশ্যাডো মেশান। দুটিকে ভালোভাবে মিশিয়ে নখে লাগান। আর এইভাবেই আপনি বাড়িতে বসে নিজেই আপনার নেলপলিশ তৈরি করতে পারবেন।
মাস্কারা

মাস্কারা হল, ব্যাকটেরিয়াদের প্রজনন ভূমি, আর এই কারণেই মাস্কারা তাড়াতাড়ি এক্সপেয়ারড হয়ে যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেলে মাস্কারাকে ফেলে দেওয়া উচিত, কিন্তু আপনি এর স্পুলি বা মাস্কারা দেওয়ার দণ্ডটিকে পুনরায় ব্যবহার করতে পারেন। স্পুলিটা নিন ও তাকে বাসন মাজার সাবান দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার এটিকে ভালোভাবে শুকিয়ে নিন। এই স্পুনটিকে আপনি পরে আপনার আইব্রো ব্রাশ বা আইল্যাশে লেগে থাকে দলা পাকানো এক্সট্রা মাস্কারাকে ঝেরে ফেলার জন্য ব্যাবহার করতে পারেন।

কাজল

যদি আপনার কাছে একটি এক্সপায়ার্ড কাজল থেকে থাকে এবং আপনি এটাকে কাজে লাগাতে চান, তবে কাজল পেন্সিলটি নিয়ে, একটা বার্নারের সাহায্য পেন্সিলটি পুড়িয়ে নিন। খেয়াল রাখবেন, অত্যাধিক তাপে কাজলটি যেন গলতে না শুরু করে দেয়। কছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, এটিকে সম্পূর্ণভাবে ঠাণ্ডা হয়ে যেতে দিন। এবার আপনি আবার এই কাজলকে ব্যবহার করতে পারবেন।

লিপস্টিক

আপনি আপনার এক্সপায়ার্ড লিপস্টিককে একটা রঙিন লিপবামে রূপান্তরিত করতে পারবেন। আপনার সবচেয়ে প্রিয় রঙের লিপস্টিকটা বেছে নিন, এবার একে কিছুটা মোমের সঙ্গে গলিয়ে নিন। উত্তপ্ত করলে লিপস্টিকের ব্যাকটিরিয়াগুলো মরে যাবে এবং আপনি লিপস্টিক থেকে নিজেই নিজের জন্য লিপবাম বানিয়ে নিতে পারবেন।