স্ট্রোক কিংবা হার্ট অ্যাটাকের ভয়? অল্পেতেই বুক ধড়ফড় করে? চামড়া টানটান রাখতে চান? দাঁত রাখতে চান ঝকঝকে? প্রতিদিন খান একটি করে কাঁচা গাজর।
গাজরের ব্যাপারটা অনেকটা সেই আপেলের প্রবাদটির মতো। চিকিত্সকদের পরামর্শ, প্রতিদিন একটা করে কাঁচা গাজর খেলেই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন কমে আসবে। বাড়িতেও ওষুধ ঢুকবে কম। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি রিপোর্ট বলছে, যারা সপ্তাহে ৬টির বেশি গাজর খান, তাদের স্ট্রোক এবং অকালে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
এমনিতে গাজরের তরকারি বা হালুয়া খেতে বেশ লাগলেও তাতে উপকার কম। তার বদলে কাঁচা গাজর খেলে বরং উপকার বেশি।
এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। বাঙালিদের খাবারে সবজি মাস্ট। আর স্বাস্থ্য সচেতন বাঙালিদের অনেকেই এখন নিয়মিত গাজর খাওয়া শুরু করেছেন। দুপুরের খাওয়া হোক বা নৈশভোজ, স্যালাড ছাড়া চলেই না। স্যালাডে আর কিছু থাক আর না থাক, গাজর কিন্তু রাখতেই হবে।
দুপুরে খাওয়ার সময় বা রাতের খাবারের সঙ্গে স্যালাড খেলে খুবই উপকার। পুষ্টিবিদদের মতে, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ। বেশ কিছুক্ষণ পেটও ভরিয়ে রাখতে পারে এই সবজি। গাজর ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এতে রয়েছে আলফা ক্যারোটিন, বিটা ক্যারোটিন ও লুটেন। তাই নিয়মিত গাজর খেলে হার্টও থাকে সুস্থ। এছাড়া গাজরে রয়েছে প্রচুর ক্যারোটিনয়েড, যা ইনসুলিন প্রতিরোধ করে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে। গাজরে রয়েছে প্রচুর পটাসিয়াম, যা রক্ত সঞ্চালন প্রক্তিয়া স্বাভাবিক রাখে। ফলে, রক্ত জমাট বাঁধে না সহজে। আর উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণ করে। এসবের পাশাপাশি, গাজরে রয়েছে ফ্যালক্যারিনল নামে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি স্তন ক্যানসার, কোলন ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসার প্রতিরোধ করে। বিটা ক্যারোটিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে গাজর ত্বককেও সুস্থ রাখে। বলিরেখা প্রতিরোধ করে এবং ত্বককে নরম রাখে।