আতা ফলের এত গুণ!

আমাদের দেশে খুব সাধারণ ও জনপ্রিয় একটি ফল আতা। এটি শরিফা এবং নোনা নামেও পরিচিত। ধারণা করা হয়, স্বাদের দিক থেকে কিছুটা নোনতা হওয়ার কারণেই এর এমন নামকরণ হয়েছে। তবে হিন্দিতে এর নাম ‘রাম ফল’। আর আমেরিকার উষ্ণমণ্ডল ও পশ্চিম ভারতীয় দ্বীপপুঞ্জ আতার আদি নিবাস।

পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ফলটির প্রতি ১০০ গ্রামে পাওয়া যায় শর্করা ২৫ গ্রাম, পানি ৭২ গ্রাম, প্রোটিন ১.৭ গ্রাম, ভিটামিন এ ৩৩ আইইউ, ভিটামিন সি ১৯২ মিলিগ্রাম, থিয়ামিন ০.১ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাবিন ০.১ মিলিগ্রাম, নিয়াসিয়ান ০.৫ মিলিগ্রাম, প্যানটোথেনিক অ্যাসিড ০.১ মিলিগ্রাম, ক্যালসিয়াম ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ০.৭ মিলিগ্রাম, ম্যাগনেসিয়াম ১৮ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ২১ মিলিগ্রাম, পটাসিয়াম ৩৮২ মিলিগ্রাম, সোডিয়াম ৪ মিলিগ্রাম। আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে গুণে ভরা আতাফল। আসুন জেনে নেই আতা ফলের গুণাগুণ—

• রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে আতাফল। ফলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণও করে।

• অন্তঃসত্ত্বা নারীদের জন্য আতা খুবই উপকারি একটি ফল। গর্ভপাত রুখতে, প্রসব বেদনা কমাতে, এমনকি মায়ের বুকের দুধ বাড়াতে আতাফলের জুড়ি নেই।

• ওজন বৃদ্ধি করতে চান? এক বাটি আতাফলের সঙ্গে অল্প মধু মিশিয়ে খান প্রতিদিন।

• আতাফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ম্যাগনেশিয়াম। এটি হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। রয়েছে ভিটামন বি৬, যা হোমোসিসটেন অ্যামাইনো অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ, ব্রঙ্কিয়াল ইনফ্লামেশন কমায় এবং অ্যাজমাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।

• ছোটখাট কাটাছেঁড়ায় আতাফলের বীজ খুবই উপকারি। কারণ এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণাগুণ।

• আতাফলের ছাল দিয়ে সপ্তাহে একবার দাঁত ও মাড়ি পরিষ্কার করলে দাঁতের সমস্যা দূরে থাকে।

• এতে রয়েছে ডায়াটেরি ফাইবার। এটি হজমে সাহায্য করে। ফলে পেটও পরিষ্কার থাকে।

• আতাফলটিতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, ত্বক ও মাথার চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখে।

• পরিশেষে আতা গাছের পাতার রসে রয়েছে এমন টক্সিক গুণ, যা স্তন ক্যানসার রোধ করার ক্ষমতা রাখে।