আয় বাড়ানোর সহজ কিছু উপায়! জেনে নিন

ভালোভাবে বাঁচার আশা সবারই রয়েছে। একদিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, অন্যদিকে অর্থনৈতিক মন্দার কারণে জীবনযাত্রার মান ধরে রাখাটা এখন কষ্টকরই বটে। ফলে ভালোভাবে বাঁচার আশা থাকলেও অনেকেই তা পারেন না। এর কারণ হলো চাহিদার তুলনায় কম উপার্জনঅ তবে এ থেকে পরিত্রাণের উপায় একটাই, আর তা হলো সম্মানজনকভাবে, স্বাচ্ছন্দ্যে চলার জন্য একটু বেশি উপার্জনের চেষ্টা করা। তাই আজ জেনে নিন আয় বাড়ানোর কিছু উপায়।

সুযোগ বৃদ্ধি করুন
আপনি যদি নিজের কাজের সুযোগ বৃদ্ধি করতে পারেন তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আয় বৃদ্ধি করতে পারবেন। যে ডেন্টিস্ট সাধারণভাবে দাঁতের চিকিৎসা করেন তিনি একজন রোগীকে বছরে দুইবার দেখতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি দাঁত সাদা করার প্রোগ্রাম করেন তাহলে সেই রোগীদেরই বছরে আরও কয়েকবার আনতে পারবেন। পার্সোনাল ট্রেইনারের আয় স্বাভাবিকভাবে ক্লায়েন্টদের ওপর নির্ভর করে। কিন্তু তিনি যদি ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট কিংবা অন্যান্য উপকরণও বিক্রি করেন তাহলে আয় অনেক বেড়ে যাবে।

রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করুন
মূলধন জোগাড় করুন এবং রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ করুন। এটি আয় বাড়ানোর অন্যতম উপায়। এর মূল কারণ আপনাকে দেখতে হবে আর্থিক স্রোত কোনদিকে বইছে। আর এ বিষয়টি আপনি দেখতে পারবেন যে, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায় রয়েছে একটি নির্দিষ্ট আর্থিক স্রোত। আর এ পরামর্শ দিয়েছেন কম মির্জা। তিনি মির্জা হোল্ডিংস-এর সিইও।

ইন্টারনেট মার্কেটিং সফটওয়্যার
ইন্টারনেট ব্যবহার করে ব্যবসায় উন্নতি করা সম্ভব। এতে আয়ও বৃদ্ধি পাবে তরতর করে। এজন্য একটি উপায় হতে পারে আপনার বর্তমান বিক্রি ও কমিশন ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাটিকে ট্র্যাকিং সফটওয়্যারের আওতায় নিয় আসা। এতে রিস্ক অ্যানালাইসিস ও অীডট রিস্কের মতো বিষয়গুলো অনেক সহজ হয়ে যাবে। এ বিষয়টি তুলে ধরেছেন জন ক্রিস্টেনি। তিনি নিউট্রিস্ট-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও।

ব্যর্থতাকে সাফল্যে রূপান্তর করুন
আপনার প্রতিষ্ঠান যদি দেউলিয়া হওয়ার অবস্থাতে আসে তাহলেও হতাশ হবেন না। কারণ ব্যর্থতাকেও সাফল্যে রূপান্তর করা যায়। এজন্য মনে রাখতে হবে, প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হয় না, প্রতিষ্ঠানের পেছনের মানুষেরা ব্যর্থ হয়। আর এ কারণে আপনি যদি সঠিকভাবে কাজ করেন তাহলে প্রতিষ্ঠানকে ব্যর্থতার হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন। এক্ষেত্রে পরিষ্কারভাবে একটি ডকুমেন্ট লেখা উচিত যেখানে তুলে ধরতে হবে প্রতিষ্ঠানের ব্যর্থতা থেকে উত্তরণের স্টেপ-বাই-স্টেপ পদক্ষেপগুলো। এরপর সে অনুযায়ী কাজ করলে প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবেই।

অভিজ্ঞতা শেখান
একজন সাংবাদিক হিসেবে বহু বিখ্যাত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেছেন কিংবা সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জেমস সোয়ানউইক। তিনি ‘৩০ ডে নো অ্যালকোহল চ্যালেঞ্জ’-এর সিইও ও প্রতিষ্ঠাতা। তিনি জানান, আল গোর থেকে ব্র্যাড পিট পর্যন্ত বহু মানুষেরই সাক্ষাৎকার নিতে হয়েছে তার। আর এ অভিজ্ঞতাগুলোই ১২টি ভিডিওতে তুলে ধরেছেন তিনি। আর এগুলো ছাড়াও নানাভাবে তিনি নিজের জ্ঞান বিলিয়ে যাচ্ছেন। এগুলো তার যথেষ্ট অর্থও উপার্জনের পথ খুলে দিয়েছে।

নিজের উপস্থিতি বৃদ্ধি করুন
আয় বৃদ্ধির জন্য একটি প্রয়োজনীয় ও কার্যকর উপায় হলো নিজের উপস্থিতি জানান দেয়া। আপনি যদি পেশাজীবী হতে চান তাহলে অনলাইনকে ব্যবহার করুন। বিভিন্ন সংগঠনের সদস্য হোন। আপনি যদি প্রশিক্ষক হন তাহলে নিজের কোর্সের একাংশ অনলাইনে শেয়ার করুন। এতে সারা বিশ্বে আপনার পরিচিতি ছড়িয়ে পড়বে।