তুরস্কের প্রথম নির্বাহী প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন রজব তাইয়্যেব এরদোগান। গত মাসে নির্বাচনে জয়লাভের পর সোমবার নতুন মেয়াদে শপথ নেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট। আঙ্কারার পার্লামেন্ট ভবনে এই শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তুরস্ক নতুন সংসদীয় ব্যবস্থায় প্রবেশ করল। গত বছর সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে এই নতুন ব্যবস্থার প্রবর্তন করা হয়।
প্রেসিডেন্ট ভবনে অনুষ্ঠিত এই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রুশ প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভ, ভেনুজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো ও কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানিসহ বেশ কিছু বিদেশী নেতা ও রাষ্ট্রপ্রধান উপস্থিত ছিলেন।
শপথ গ্রহণের পর প্রেসিডেন্ট এরদোগান তার নতুন সরকারে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন এনেছেন। তার মেয়ে জামাতা বিরাত আল বাইরাক রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন।
তুরস্কের অর্থনীতিতে এখন মন্দাভাব চলছে। লিরার দাম ২.৪ শতাংশ কমে গেছে। ডলারের বিপরীতে লিরার মুদ্রামান এখন ৪.৬৮ । ঠিক ওই সময় নতুন অর্থমন্ত্রীকে বিশেষ চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে হবে।
আর ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ফুয়াত উকতাইকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নিয়োগ দিয়ে চমক সৃষ্টি করেছেন এরদোগান। নতুন ভাইস প্রেসিডেন্ট ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তিনি প্রধানমন্ত্রীর সহকারী সচিব হিসেবে কাজ করেছেন।
বর্তমান সেনাপ্রধান হুলুসি আকারকে তার সরকারে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তাকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন এরদোগান। তবে বর্তমান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভাসুগলুকে অপরিবর্তিত রেখেছেন।
এরদোগানের নতুন সরকারে ১৬ জন মন্ত্রী স্থান পেয়েছেন। বিগত সরকারে তার মন্ত্রিপরিষদ ছিল ২৬ জনের। বিগত দিনগুলোতে নানা প্রচেষ্টার পরও ইউরোপীয় ইউনিয়নে অন্তর্ভূক্ত হতে ব্যর্থ হওয়ায় এরদোগান তার বিগত সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ইইউ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে একীভূত করেছেন।
আইনমন্ত্রী হয়েছেন আবদুল্লাহ মিথ গুল, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রী মেহমেত কাসাপোগলো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সয়লো, পর্যটন ও সংস্কৃতি মন্ত্রী মেহমেত এরসুই, শিক্ষামন্ত্রী জিয়া সেলজুক, স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেততিন কুচসা।