মাইগ্রেন দীর্ঘস্থায়ী এক ধরনের মাথার যন্ত্রণা ,যা অল্প থেকে বেশী- সব রকমই হতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা এতটাই তীব্র হয় তা দুই থেকে তিন দিন পর্যন্তও স্থায়ী হয়। মানসিক চাপ, দীর্ঘ ভ্রমণ, কারো কারো ক্ষেত্রে বংশগত কারণেও মাইগ্রেনের সমস্যা হতে পারে। এছাড়া উজ্জ্বল আলো,কিছু কিছু গন্ধ ,তীব্র আওয়াজের কারণেও এই ব্যথা দেখা দিতে পারে।। মাইগ্রেনের ফলে বমি বমি ভাব, বমি এবং লিম্বে ব্যথা অনুভূত হতে পারে। সাধারণত পুরুষের তুলনায় নারীরা এই সমস্যায় বেশি ভোগেন। কিছু কিছু খাবারও মাইগ্রেনের ব্যথা বাড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখে।
সাধারণত অ্যালকোহল জাতীয় পানীয় পান করলে মাইগ্রেনের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। বিশেষ করে বিয়ার,রেড ওয়াইন- মাইগ্রেন এবং মাথা যন্ত্রণার উদ্দীপকের কাজ করতে পারে। এছাড়া সব ধরনের অ্যালকোহলেই তাৎক্ষণিক কিংবা দেরীতে মাইগ্রেনের ব্যথা শুরু হয়। এজন্য মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় যারা কষ্ট পান,তাদের অ্যালকোহল এড়িয়ে যাওয়া উচিত।
পনিরে টিরামাইন নামক একধরণের উপাদান থাকে যা মাইগ্রেনের উদ্দীপকের কাজ করে। প্রায় সব ধনেরর পনিরেই এই উপাদানটি থাকে।এজন্য যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের পনির না খাওয়াই উচিত।
চকোলেটের ফিনেলথিলামিন থাকে এক ধরনের উপাদান থাকে যা মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহে সমস্যা সৃষ্টি করে। এর ফলে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয় যা মাইগ্রেনের উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। কিছু কিছু চকোলেটে ক্যাফেইন থাকে,যা মাথা যন্ত্রণা বাড়িয়ে দেয়।
ক্যাফেইন জাতীয় খাবারও মাইগ্রেনের উদ্দীপকের কাজ করে। ক্যাফেইন গ্রহণের ফলে কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের এবং রক্তজালকের ওপর প্রভাব পড়ে। এর ফলে তাৎক্ষণিক শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং ঘুম কেটে যায়। প্রচন্ড মাইগ্রেনের সমস্যা হলে ক্যাফেইন তা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু মাইগ্রেনের সমস্যায় নিয়মিত ভুগতে থাকলে ক্যাফেইন এড়িয়ে চলাই উচিত।