গ্রীষ্মের শেষে প্রকৃতিতে এখন বর্ষাকাল। সতেজ প্রকৃতি আর স্নিগ্ধ আকাশের দিকে তাকিয়ে নিজেকেও সুন্দর করে রাখতে ইচ্ছে হয় নিশ্চয়ই। সব আবহাওয়ায়ই ত্বকের ওপর কোনো না কোনোভাবে প্রভাব ফেলে। যেমন বর্ষাকালে বৃষ্টি-কাঁদার কারণে ত্বকের সমস্যা হতে পারে। আবার একটানা বৃষ্টি চললে ভ্যাপসা আবহাওয়ার কারণে ত্বকে মন্দ প্রভাব পড়তে পারে। তাই এই সময়ে নিতে হবে বিশেষ যত্ন।
ত্বক সুস্থ রাখতে হলে ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে হবে। সেজন্য এক্সফলিয়েট করা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে মিহি দানার এক্সফলিয়েটর বা মৃদু রাসায়নিক পিল ব্যবহার করে ত্বককে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যায়।
মেকআপ যদি করতেই হয় তবে হালকা মেকআপ করুন। লোমকূপকে শ্বাস নিতে দিন। ঠোঁটের আর্দ্রতা রক্ষা করতে লিপ বাম ব্যবহার করুন।
ঘামের কারণে লোমকূপ বড় হয়ে যেতে পারে। তাই ত্বক পরিষ্কারের পরে টোনার লাগান, এটা লোমকূপ সংকুচিত রাখতে সাহায্য করে। অ্যালকোহল ছাড়া ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি এবং গ্লাইকোলিক অ্যাসিড উপাদান এরকম টোনার ব্যবহার করুন। এটা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক টানটান রাখে, দাগ ছোপ দূর করে এবং ব্রণ দূর করে।
রোদ থেকে ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে উন্নত সানস্ক্রিন ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনোভাবেই এসপিএফ ৩০ এর কম সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যাবে না। বাইরে যাওয়ার আগে মুখে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
আর্দ্রতা ধরে রাখতে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। আর্দ্রতার কারণে হওয়া ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করতে সপ্তাহে একবার মূলতানি মাটির মাস্ক ব্যবহার করুন যা প্রাকৃতিকভাবে তেল শোষণ করে। মৃতকোষ দূর করতে ও লোমকূপের ময়লা দূর করতে টি ট্রি বা গ্রিন টি সমৃদ্ধ মাস্ক ব্যবহার করুন।
ঠোঁট, চোখের চারপাশের চামড়া মুখের অন্যান্য অংশের তুলনায় পাতলা। তাই এর বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। চোখের পানির ঝাপটা ও ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহার করুন।
অনাকাঙ্ক্ষিত সংক্রমণ ঠেকাতে অ্যান্টিফাঙ্গাল পাউডার ব্যবহার করুন।
সাধারণ প্রসাধনী ব্যবহারের পাশাপাশি, নিয়মিত সানস্ক্রিন, ক্ষতিকারক নয় এমন রাসায়নিক পিল বা এক্সফলিয়েন্টস ব্যবহার করুন। যা ত্বক সুন্দর ও কোমল রাখতে সাহায্য করবে।