অতিরিক্ত প্রোটিনে মধ্যবয়সি পুরুষদের হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তবে স্বস্তির খবর হল এটাই, মাছ বা ডিম থেকে যে প্রোটিন আমরা পাই, তা হার্টের ক্ষতি করে না বলেই আশ্বস্ত করছে ইউনিভার্সিটি অফ ইস্টার্ন ফিনল্যান্ডের এক দল গবেষক।
তারা জানান, পরীক্ষায় তারা নিশ্চিত হয়েছেন, অতিরিক্ত প্রোটিন পুরুষদের হার্টের ক্ষতি করছে। বিশেষত মধ্যবয়সি পুরুষদের। এই গবেষকদলটি প্রোটিন খেতে কখনোই নিষেধ করেনি। তাদের উপদেশ, বয়স বাড়ার সঙ্গে খাদ্যতালিকায় প্রোটিনের পরিমাণ কমিয়ে আনুন। উচ্চ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার এড়িয়ে চলুন।
গবেষক দলের অন্যতম জিরকি ভিরতানেন বলেন, অনেকেই স্বাস্থ্যের কথা ভেবে উচ্চপ্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গুরুত্ব দেন। কিন্তু, পুরুষদের জেনে রাখা উচিত উচ্চ প্রোটিনের ক্ষতিকারক দিক রয়েছে।
৪২ থেকে ৬০-এর মধ্যে বয়স এমন ২,৪৪১ পুরুষের উপর ২২ বছর ধরে এই গবেষণা চলে। এর মধ্যে ৩৩৪ জনের হার্ট ফেলিওর ধরা পড়ে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, এদের খাদ্যতালিকায় প্রাণীজ প্রোটিন থাকত ৭০ শতাংশ, ২৭.৭ শতাংশ প্রোটিনের উৎস উদ্ভিজ।
চারটে ভাগে এই গবেষণা চালানো হয়। একদলকে সবরকম প্রোটিন দেওয়া হয়েছিল। দেখা গেছে, তাদের ক্ষেত্রে হার্ট ফেলিওরের ঝুঁকি ৩৩ শতাংশ বেড়েছে। প্রাণীজ প্রোটিনে ঝুঁকি বেড়েছে ৪৩ শতাংশ। উদ্ভিজ প্রোটিনে ঝুঁকি সবথেকে কম, ১৭ শতাংশ। তবে, ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি দুগ্ধজাত খাবারে।
সাম্প্রতিক আরও একটি গবেষণাতেও দাবি করা হয়েছে, প্রাণিজ প্রোটিন বেশি খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে। এমনকী মৃত্যুও ত্বরাণ্বিত করে প্রাণীজ প্রোটিন।