জানুয়ারির প্রথম থেকেই বাড়ছে শীত। পৌষের শেষের শীতে কাঁপছে দেশ। রাজধানীও বাদ পড়েনি সেই কাঁপুনি থেকে। সূর্য যেন ছুটিতে গেছে।
রোদ বের হলেও বড্ড মলিন মুখে উত্তাপহীন দিন পার করেছে। আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিশোরগঞ্জের নিকলী ও চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। তবে খুব শিগগিরই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ মিলবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শীতের চলমান প্রকোপ শনিবার থেকেই কমতে শুরু করবে।
আবার আগামী মঙ্গলবার থেকে কিছুটা কমে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। ওই দিন দেশের কোথায়ও কোথাও মেঘ দেখা দিতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের চার জেলা- নওগাঁ, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ও চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। এসব অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
ঢাকায় টানা চারদিন ধরে দিনের তাপমাত্রা রয়েছে ১৪ থেকে ১৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। শুক্রবার দুপুর ১২টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, মৃদু শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকে। মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে তাপমাত্রা হয় ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তীব্র শৈত্যপ্রবাহে ৪ থেকে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয় তাপমাত্রা।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বৃহস্পতিবার কুয়াশা কাটতে প্রায় ৪টা বেজে গিয়েছিল। শুক্রবার ৩টার পর পর কুয়াশা কেটে গেছে। শনিবার আরও একটু এগিয়ে আসবে। আশা করা যাচ্ছে এভাবে মঙ্গলবারের মধ্যে তীব্র শীতের অনুভূতি কমে যাবে। কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে সাময়িকভাবে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ থেকে প্রাপ্ত চিত্র বিশ্লেষণ করে জানান, দেশব্যাপী চলমান কুয়াশার বিস্তার থাকবে সপ্তাহজুড়ে। শক্তিশালী পশ্চিমা লঘুচাপের প্রভাবে দেশব্যাপী উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। বৃষ্টির পরই সারাদেশে ভারী কুয়াশার বিস্তার লাভ করবে।