নরসিংদীর মাধবদীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগের পাইপ লিকেজ হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দগ্ধ হয়েছে একই পরিবারের শিশুসহ ৬ জন। সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভোর ৪টায় মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের গদায়েরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আগুনে দগ্ধদের শেখ হাসিনা বার্ন ও প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের ৬ জনেরই শরীরের অনেককাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদী সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক।
দগ্ধরা হলেন- টেক্সটাইল শ্রমীক মাধবদী গদায়েরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে শামীম (৪০), তার স্ত্রী আকলিমা (৩০), তার বড় মেয়ে সানজিদা (২০), ছোট মেয়ে রিয়ামনি (৮) ও তার বড় ভাই গাফফার মিয়া (৪৫) ও রশীদ মিয়া (৩২)।
ভুক্তভোগী পরিবারের স্বজনরা জানান, সোমবার ভোর রাতে ঘুম থেকে উঠে বাবা শামীমের জন্য নাস্তা তৈরি করছিলেন বড় মেয়ে সানজিদা। এ সময় দেয়াশলাই দিয়ে সিলিন্ডার গ্যাসের চুলায় আগুন ধরাতে গেলে হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে আগুন ধরে যায় রান্নাঘরসহ পাশের দুটি ঘরে। বিস্ফোরণের তীব্রতায় মুহূর্তেই ফেটে যায় একতলা ভবনটির চারপাশ। সেই সঙ্গে রান্নাঘরে থাকা সানজিদাসহ অগ্নিদগ্ধ হন ঘুমিয়ে থাকা পরিবারের বাকি ৫ জন।
পরে প্রতিবেশী ও স্বজনদের সহায়তায় নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদেরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। পরে সেখানেও তাদের অবস্থার অবনতি হলে ভর্তি করা হয় শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে। এলাকার অবৈধ গ্যাস সংযোগের লিকেজ থেকেই এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অবৈধ সংযোগের কথা স্বীকার করে জেলার তিতাস গ্যাসের সিনিয়র ডাটা এন্ট্রি অপারেটর সুশান্ত হালদার জানান, দুই বছর আগে আমরা এখানকার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেই। কিন্তু সম্প্রতি কে বা কারা আবারও পুরনো লাইন থেকে সংযোগ নিয়েছে। এই লাইনে লিকেজের কারণেই বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মাধবদী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুজ্জামান, ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। এটি কোনো নাশকতা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।