দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৬ (কুলিয়ারচর ও ভৈরব) আসন থেকে বিপুল ব্যবধানে বিজয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। বেসরকারি ফল অনুযায়ী, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী মোমবাতি প্রতীকের মো. রুবেল হোসেনকে এক লাখ ২২ হাজার ১০৭ ভোটে হারিয়েছেন নৌকার এই প্রার্থী।
রোববার (৭ জানুয়ারি) দুই উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত ফলে বিষয়টি জানা গেছে।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জ-৬ আসনে এক লাখ ২৪ হাজার ৪০৫টি ভোট পেয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রুবেল হোসেন মোমবাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ২৯৮টি ভোট।
আসনটিতে ১৪২টি ভোটকেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা তিন লাখ ৯৯ হাজার ২৪৪ জন। পাপনসহ এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সাতজন প্রার্থী।
এর আগে, আজ রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোটগ্রহণ। বিক্ষিপ্ত কিছু ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচন মোটামুটি সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে। নির্বাচন হয়েছে ২৯৯ আসনে। ২৮টি রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে প্রার্থী ছিলেন ১৯৭১ জন। ভোট নেওয়া হয়েছে ব্যালট পেপারে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল দাবি করেছেন নির্বাচনে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। বিদেশি পর্যবেক্ষকদের বড় অংশই বলেছে নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। তবে তারা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে অসন্তোষ জানিয়েছে।
দিনের বড় ঘটনা হলো চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের প্রার্থিতা বাতিল। পুলিশের এক ওসিকে ধমক দেওয়ায় এবং আগেও আচরণবিধি ভঙ্গ করার রেকর্ড থাকায় তার প্রার্থিতা বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। এছাড়া চট্টগ্রামেই অপর এক ঘটনায় প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি করার ঘটনা ঘটেছে। মুন্সীগঞ্জে নৌকার সমর্থক এক ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়। তবে নির্বাচন কমিশনের দাবি, এটি নির্বাচনকেন্দ্রিক ঘটনা নয়।
ইতোমধ্যে অনেক আসনের ফল আসা শুরু হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে নৌকা প্রতীকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এগিয়ে রয়েছে। এরপর রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চেয়ে ফলাফলে এগিয়ে আছেন সারা দেশের স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। যারা ঈগল, ট্রাক, কেচি ও কেটলি প্রতীকে নির্বাচন করেছেন।
নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ২৮টি দল নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তবে দেশের বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচন বয়কট করেছে। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একাধিক দাবিতে আন্দোলন করছে।