উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জেলায় শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, জেলার তাপমাত্রার পারদ আরও নিচের দিকে নামবে। রাতের তাপমাত্রা অপরিবর্তিত থাকলেও দিনের তাপমাত্রা আংশিক কমার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, হিমালয় কন্যা পঞ্চগড়ে চলছে পৌষের শীতের দাপট। সকালের শীতে জনজীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। সূর্যের দেখা মেলায় খানিক স্বস্তি ফিরেছে এ জনপদের বাসিন্দাদের।
শীতে বেশিরভাগ সময় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করে উত্তরের এই জেলায়। হিমালয় কাছে থাকায় বরাবরই শীতের তীব্রতা বেশি থাকে এখানে। এবারো পৌষের শুরু থেকে জেঁকে বসেছে শীত। তাপমাত্রা নেমে এসেছে এক অঙ্কের ঘরে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়াতে। আগের দিন বৃহস্পতিবার ছিলো একই অঙ্কের তাপমাত্রা। তবে বুধবার এই মৌসুমের দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় পঞ্চগড়ে। শীতের তীব্রতা বেশি থাকছে সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত। রাতে বৃষ্টির মতো ঝরে কুয়াশা।
এই সময়টুকুতে হাঁড়কাপা শীত অনুভূত হচ্ছে। গত কয়েক দিন সকালে থাকলে হালকা কুয়াশা। তবে উত্তরে ঠান্ডা বাতাস অব্যাহত থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। সকালেই মিলছে সূর্যের দেখা। সকালেই সূর্যের দেখা পাওয়ায় জনজীবনে স্বস্তি মিলে।
এদিকে জেলায় ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠান্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমজীবী ও স্বল্প-আয়ের মানুষ। কাজে যেতে না পারায় ভুগছেন তারা। দিনেও সড়কে হেডলাইট জ্বেলে চলছে বাস, ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন।