সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে, কমেছে শৈত্যপ্রবাহের আওতাও। বুধবার উত্তরাঞ্চলের তিন জেলায় শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও বৃহস্পতিবার সকালে দুই জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বইছিল।
আগামী কয়েক দিন রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এতে শীত আরও কমে শৈত্যপ্রবাহ দূর হতে পারে। একই সঙ্গে দেশের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঘন কুয়াশা পরিস্থিতিও আগামী কয়েক দিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। একদিন আগে যা ছিল ৭ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বুধবার পঞ্চগড়, নীলফামারী ও দিনাজপুরের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বইছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়াবিদ মো. তরিফুল নেওয়াজ কবির জানান, দিনাজপুর এবং পঞ্চগড় জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাস তুলে ধরে জানান, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এসময়ে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশে দিনে ঠান্ডা পরিস্থিতি বিরাজ করতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে, তবে যশোর ও কুষ্টিয়া অঞ্চলসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দু/এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
তবে শনিবার রাজশাহী বিভাগের দু/এক জায়গায় হালকা বা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। পরবর্তী পাঁচদিনেও তা রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানান তরিফুল নেওয়াজ কবির।