যাঁরা আইইএলটিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, লিসেনিং বা শোনা অংশটি নিয়ে তাঁদের একটা বড় ভয় থাকে। আমরা যে ইংরেজি শুনে বা বলে অভ্যস্ত, সেটা বেঙ্গলি ইংলিশ বা বড়জোর ইন্ডিয়ান ইংলিশ।
আমাদের অনেকেরই শুদ্ধ উচ্চারণে ইংরেজি শুনে বোঝার অভ্যস্ততা কম। সে ক্ষেত্রে পডকাস্ট, অডিও বুক ভালো সমাধান। সেগুলো যদি আপনাকে না টানে, তাহলে দেখতে পারেন সিনেমা। সিনেমা দেখুন, ইংরেজি শিখুন। সাবটাইটেলটা চালু করে দিতে ভুলবেন না। এই ১০ সিনেমা দিয়ে শুরু করতে পারেন। সময়টা কাটবে ভালো, আবার আপনার লিসেনিংয়ের দক্ষতাও বাড়বে।
১. ‘জুরাসিক পার্ক’: ১৯৯৩ সালের ছবি, হয়তোবা আপনার জন্মেরও আগের। তিনটি একাডেমি পুরস্কারসহ অনেক পুরস্কারজয়ী এই সিনেমা থেকে বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু শব্দ শিখে ফেলতে পারবেন।
২. ‘ক্লুলেস’: এটিও বেশ পুরোনো ছবি, ১৯৯৫ সালের। জেন অস্টিনের ‘এমা’ উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি টিনএজ কমেডি।
৩. ‘দ্য হাঙ্গার গেমস’: ২০১২ সালের সায়েন্স ফিকশন অ্যাডভেঞ্চার সিনেমা। ফিগারেটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ বা আক্ষরিক অর্থে ব্যবহৃত না হয়ে অন্য অর্থে ব্যবহৃত হচ্ছে, এমন কিছু শব্দ, বাক্য শিখে ফেলতে পারেন।
৪. ‘দ্য কিংস স্পিচ’: কেবল ভাষা শেখার জন্য নয়, সাবলীলভাবে কথা বলার ভীতি বা স্পিচ ডিজঅর্ডার কাটিয়ে ওঠার জন্যও ২০১০ সালের এই ছবি দেখা উচিত।
৫. ‘দ্য কুইন’: প্রিন্সেস ডায়ানার মৃত্যু রাজপরিবারে কী প্রভাব ফেলেছিল, তা জানতে পারবেন ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবি দেখে।
৬. ‘মেন ইন ব্ল্যাক’: সাবলীল ইংরেজি জানার জন্য মার্কিন সায়েন্স ফিকশন অ্যাকশন কমেডি জনরার সিনেমাটি অবশ্যই দেখুন।
৭. ‘ফরেস্ট গাম্প’: টম হ্যাংকস অভিনীত ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া বিশ্ববিখ্যাত সিনেমাগুলোর একটি। এটি যে একটা ভালো সিনেমা, এই বিষয়ে সিনেমা সমালোচকেরা সবচেয়ে বেশি একমত হয়েছেন।
৮. ‘ডেড পোয়েটস সোসাইটি’: ১৯৮৯ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির কেন্দ্র আছে ইংরেজি সাহিত্যের একজন শিক্ষক আর তাঁর কয়েকজন ছাত্র, দেখে ফেলুন।
৯. ‘দ্য উইজার্ড অব ওজ’: ১৯৩৯ সালের মিউজিক্যাল ফ্যান্টাসি সিনেমা। এত পুরোনো সিনেমা, তবু খুব ভালো লাগবে। ইংরেজিও শিখবেন।
১০. ‘আকেলা অ্যান্ড বি’: আচ্ছা, আপনার কি ছোটবেলায় স্পেলিং বি দেখতে ভালো লাগত? লাগুক বা না লাগুক, দেখে ফেলতে পারেন সিনেমাটি। এ ছাড়া ‘হ্যারি পটার’ বা ‘জেমস বন্ড’ সিরিজ বা সাম্প্রতিক ‘দ্য ক্রাউন’, ‘অ্যানাটমি অব আ স্ক্যান্ডাল, ইনসাইড ম্যান’, ‘কিস মি ফার্স্ট’ সিরিজগুলো আপনাকে ব্রিটিশ ইংরেজি ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। ‘নটিং হিল’ সিনেমায় মার্কিন ও ব্রিটিশ, দুই ধরনের চরিত্রই আছে। তাই ব্রিটিশ নাকি আমেরিকান—এই দ্বিধা থাকলে দেখে ফেলতে পারেন সিনেমাটি। অস্ট্রেলিয়ান ইংরেজি শেখার জন্য দেখে ফেলতে পারেন হরর জনরার ‘দ্য বাবাডুক’। আর নিউজিল্যান্ডের একসেন্ট শেখার জন্য ‘ব্ল্যাকশিপ’।
শেষ কথা হলো, আপনি যদি ইংরেজি না-ও শিখতে চান, তবু সময় থাকলে দুর্দান্ত গল্প, মেকিংসহ ভালো সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতার জন্যও এগুলো দেখে ফেলতে পারেন।