বিচারপতি আবু আহমেদ বলেছেন, আল্লামা নামধারী আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন মানুষ মারা গেছে। তাকে পাহারা দেয়ার জন্য হাজার হাজার পুলিশ সারারাত জাগছে। সে কী এতই জ্ঞানী ছিল বাংলাদেশে।
মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে শোক দিবসের আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘গতকাল রাতে আমার দুই ছেলে বললো সাঈদী মারা গেছে। এজন্য দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে পারে। পরে রাতেই ঢাকার বাইরে থেকে পুলিশ এনে মোতায়েন করা হয়। কেন? এই শঙ্কা কেন আসবে এই দেশে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছি, সেখানে কেন ৫২ বছর পর শঙ্কা আসবে। তারা কী তাহলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর চাইতেও বেশি ক্ষমতাধর। আমার তো মনে হয় তাই। আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত একজন মানুষ মারা গেছে, যার শিক্ষাগত যোগ্যতা কী আমি জানি না। আল্লামা নামধারী। সে কি এতই জ্ঞানী ছিল বাংলাদেশে। তাকে পাহারা দেয়ার জন্য হাজার হাজার পুলিশ সারারাত জাগছে। ভোরবেলা পিরোজপুরে নিয়ে গেছে।’
জামায়াতের বিচার দাবি করে আবু আহমেদ জমাদার বলেন, ‘তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা আছে। সাক্ষী সাবুদ এখনো আছে, বিচার কেন করা হবে না? রাজাকারের জন্য দেশ নয়, এটা মুক্তিযোদ্ধাদের বসবাসের জন্য। আমার আছে আর কয়েক মাস। আমাকে যদি বলা হয়, এই বিচার করলে গুলি করা হবে তবুও আমি বলব বিচার করব।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, বিচারপতি বোরহান উদ্দিন, বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. রেজাউল হাসান, বিচারপতি জে বি এম হাসান, বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল,বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রমুখ।