হেফাজতে ইসলামের নেতা মামুনুল হকের সঙ্গে জান্নাত আরা ঝর্ণার বৈধভাবে বিয়ে হয়েছিল বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন। সোমবার (২৬ জুন) দুপুরে শহরের নতুন কোর্ট এলাকায় তিনি ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমানের দেওয়া সাক্ষ্যের বরাতে এ কথা জানান।
আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন জানিয়েছেন, গত ৬ জুন আদালতে জান্নাত আরা ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘আমার মা জান্নাত আরা ঝর্ণা ও আল্লামা মামুনুল হকের বিয়ে বৈধ। তারা দুজন স্বেচ্ছায়-স্বজ্ঞানে বিয়ে করেছেন।’ কিন্তু রাষ্ট্রপক্ষ এই মামলাটি নিয়ে বরাবরই মিথ্যাচার করে আসছে। ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমান কখনও বলেননি আমার মাকে মামুনুল হক ধর্ষণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, জান্নাত আর ঝর্ণা মামুনুল হকের বৈধ স্ত্রী। আশা করি তিনি নির্দোষ প্রমাণিত হবেন। এদিকে ঝর্ণার ছেলে আব্দুর রহমানের দেওয়া সাক্ষ্যের সার্টিফাই কপিতে দেখা যায়, সেখানে তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সালে আমার বাবা-মার বিচ্ছেদ হয়। তারপর আমার মা ঢাকা চলে আসেন। ঢাকায় আসার পর আসামি মামুনুল হকের সঙ্গে আমার মায়ের সম্পর্ক হয়। আমি যতটুকু জানি তাদের বিয়ে হয়। তাদের মধ্যে সম্পর্ক চলতে থাকে। আসামিকে পূর্ব থেকেই চিনতাম। আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন। আসামি কুপরামর্শ দিয়ে আমার মাকে দিয়ে আমার বাবাকে তালাক দেওয়ায় এটা সত্য নয়।’
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে জান্নাত আরা ঝর্ণা নামে এক নারীর সঙ্গে অবস্থানকালে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মামুনুল হককে আটক করেন। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে তাকে নিয়ে যান। পরে ১৮ এপ্রিল মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ওই নারী।