আরাভের মধ্যে যার চরিত্র খুঁজে পেলেন ফারুকী!

কাজের বাইরেও দেশ, মানুষ ও সমাজের নানা প্রসঙ্গেই কথা বলেন নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ব্যতিক্রম ঘটেনি সাম্প্রতিক আলোচিত আরাভ খান ইস্যুতেও।

পুলিশ হত্যা মামলার আসামির তালিকায় থাকা রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান দেশ থেকে পরিচয় গোপন করে পালিয়েছেন। এর পর দুবাইতে গিয়ে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন সোনা ব্যবসায়ী হিসেবে। সম্প্রতি তার পরিচয় ফাঁস হয়েছে।

আরাভ খানের মধ্যে নিজের সৃষ্ট ‘মন্টু’ চরিত্রের ছায়া খুঁজে পেয়েছেন ফারুকী। যে ‘মন্টু’কে দেখা গেছে ২০০৭-০৮ সালে তার নির্মিত জনপ্রিয় ধারাবাহিক নাটক ‘৪২০’-এ। এ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মোশাররফ করিম।

বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ফারুকী তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, আমাদের রাষ্ট্রের গহিন গোপন অসুখের নামই রবিউল! বায়োপসি করলে দেখা যাবে এই অসুখের তলে লুকিয়ে আছে কোনো সবৃ জীবাণু! আমি তাকে দেখি ফোরটুয়েনটির মন্টুর ভিন্ন ভার্সন হিসেবে।

আর বিভিন্ন লাইভে এসে যে সে তার ক্ষমতার অশ্লীল দম্ভ দেখাচ্ছিল, সেটাও হয়তো জীবাণুর শক্তিতে বলীয়ান হয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি তার ছুড়ে দেওয়া প্রশ্ন। প্রত্যেকেটা রাষ্ট্র কিছু নিয়মের ভেতর দিয়ে পরিচালিত হয়। যখনই সেখানে কোনো অনিয়ম হয়, তখনই সেটা রাষ্ট্রের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। দুর্নীতি হলে, টাকা লুটপাট হলে, মানুষের হক কেড়ে নিলে, বিনাবিচারে মানুষ মারলে, বিচার না হলে— এ রকম অনিয়মের যত বড় তালিকা করেন, প্রত্যেকটা অনিয়মই রাষ্ট্রের অস্তিত্বের প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে দেয়। রবিউলের কেসও সে রকমই কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দেয়।

দেখার বিষয়, রাষ্ট্র সেই প্রশ্নের কী উত্তর দেয়। এবং বায়োপসিতে কে বা কারা বের হয়ে আসে। পপকর্ন নিয়ে আমরা গ্যালারিতে বসলাম।

ফুটনোট হিসেবে তিনি লেখেন, দুটা পাঠ করার মতো জিনিস
১. কেউ কেউ এটাকে শ্রেণি সংগ্রামের বিজয় হিসাবে দেখছেন। আবার সেই একই লোক তার কথিত গডফাদারদের লুটপাটের কড়া সমালোচক।

২. সাংবাদিকদের গালাগালের মাধ্যমে সে মোটামুটি জনতার নায়ক হিসেবে নিজেকে বসানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও কিছু সাংবাদিক দুর্দিনেও নিজেদের কাজটা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করছেন। তার পরও সমষ্টিগতভাবে সাংবাদিক সমাজের প্রতি বৃহৎ জনগোষ্ঠীর অবিশ্বাস একটা খেয়াল করবার মতো জিনিস।

প্রসঙ্গত, ফারুকী নির্মিত ছবি ‘শনিবার বিকেল’ গত চার বছর ধরে সেন্সর বোর্ডে আটকে আছে। বহু আবেদন, প্রতিবাদের পরও কাঙ্ক্ষিত ছাড়পত্র আসেনি। তবে ছবিটি সম্প্রতি উত্তর আমেরিকার ৭১টি হলে মুক্তি পেয়েছে। সাড়া মিলছে ভালোই। তবু অপেক্ষায় ফারুকী, দেশের প্রেক্ষাগৃহে ছবি মুক্তি দেওয়ার।