আরাভ খান ইস্যুতে কয়েকদিন ধরেই বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে। তাকে খুনের আসামি উল্লেখ করে তার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এ বিষয়কে কেন্দ্র করে হিরো আলম বলেছেন, শুনেছি সে (আরাভ খান) মামলার ছয় নম্বর আসামি। বাকি পাঁচজনের কথা কেউ বলছে না কেন? তারা কই। এছাড়া বিষয়টি জানাজানিতে অবদান রাখার জন্য সাকিব ও তাকে পুরস্কৃত করারও দাবি জানান হিরো আলম।
দুবাই থেকে দেশে ফিরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছেন হিরো আলম। সেখানে তিনি বলেন, আরাভকে খুনের আসামি বলা হচ্ছে। তবে কোর্ট রায় না দেওয়া পর্যন্ত তো আমরা তাকে অপরাধী বলতে পারি না। আর শুনেছি সে মামলার ছয় নম্বর আসামি। প্রথম পাঁচজনের কথা কেউ বলছে না কেন? তাদের বাদ দিয়ে ছয় নম্বর আসামিকে নিয়ে সবার এত মাথাব্যথা কেন?
এই ইস্যুতে তাকে ও সাকিব আল হাসানকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে, এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। তবে যদি তারা প্রমাণ দিতে পারে যে জানানোর পরেও আমরা গিয়েছি, যে শাস্তি দেবে আমরা মাথা পেতে নেব।
পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, তাদেরকে বিশেষ করে সাকিব আল হাসানকে জানানোর পরও তারা আরাভের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে হিরো আলম বলেন, এটা একশ ভাগ মিথ্যা কথা। তাদেরকে মেসেজ দেখাতে বলেন। প্রমাণ দিতে বলেন। নিজে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন কোনো বার্তা পাননি উল্লেখ করে হিরো আলম মন্তব্য করেন, পুলিশের ভুল ছিল। তারা বিষয়টি জেনেও আমাকে জানায়নি কেন?
সময়ের আলোচিত এই ব্যক্তি বলেন, পুলিশ যদি আমাকে সতর্ক করত, তাহলে আমি যেতাম না। তারা আমাদের মেসেজ দিতে পারত, বিমানবন্দরে আটকাতে পারত। কিন্তু তারা তা করেনি। কারণ পুলিশ নিজেই জানত না আরাভ খুনের মামলার আসামি। আমরা দুবাই যাওয়ায় তারা জানতে পেরেছে।
এ সময় হিরো আলম বলেন, এখন পুলিশের উচিত আমাকে ও সাকিব আল হাসানকে পুরস্কৃত করা উচিত। কারণ, আমরা যদি ওই অনুষ্ঠানে না যেতাম, তাহলে তারা এতকিছুর সন্ধানই পেত না। আমাদের জন্যই তারা একজন আসামির সন্ধান পেয়েছে।
পুলিশের দাবি, দুবাইয়ের আলোচিত স্বর্ণের দোকান আরাভ জুয়েলার্সের মালিক ‘আরাভ খান’ আসলে রবিউল ইসলাম, যিনি এক পুলিশ পরিদর্শক হত্যা মামলার আসামি। সম্প্রতি তার দোকান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমসহ বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন তারকা যোগ দিলে আরাভ খান সংবাদে উঠে আসে।
এদিকে আরাভ খান দাবি করেছিলেন, তার দোকানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যারা দুবাই গিয়েছিল, তাদের কোনো ধরনের অর্থ দেওয়া হয়নি। বিষয়টিকে মিথ্যা অভিহিত করে হিরো আলম বলেন, সবাইকে বিমানভাড়াসহ সব খরচের পরেও সম্মানী দেওয়া হয়েছে। নিজে পাওয়া সম্মানি দিয়ে আসন্ন রমজানে গরিবদের মধ্যে কাপড় ও সেমাই বিতরণ করবেন বলে উল্লেখ করেন হিরো আলম।