সুলতান’স ডাইনের কাচ্চি বিরিয়ানিতে খাসির পরিবর্তে অন্য প্রাণীর মাংস ব্যবহারের অভিযোগের সত্যতা মেলেনি বলে জানিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তাই সুলতান’স ডাইনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ থেকে প্রতিষ্ঠানটিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে তাদের কোনো মতামত নেই বলেও জানানো হয়েছে।
অভিযোগ থেকে সুলতান’স ডাইনকে অব্যাহতি দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থার মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এসব কথা বলেন।
ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, আমাদের কাছে কোনো স্যাম্পল নেই এবং টেস্ট করানোর সুযোগও নেই। তাই সুলতানস ডাইনের বিষয়ে আমরা কোনো মতামত দিতে পারি না। এটি টেস্ট করবে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। তবে আমরা সেদিন যে অভিযান চালিয়েছি তাতে আইন অনুযায়ী কোনো ব্যত্যয় পাইনি। ফলে প্রতিষ্ঠানটিকে আনীত অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, সুলতান’স ডাইন কাপ্তান বাজারের এক ভেন্ডরের মাধ্যমে খাসির গোশত সংগ্রহ করে থাকে। ‘মা বাবার দোয়া গোস্ত বিতান’ নামের ওই ভেন্ডর নিজ দায়িত্বে অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানে মাংস দিয়ে যায়।
এদিকে ভোক্তা অধিকারের কর্মকর্তাদের প্রশ্নে জবাবে সুলতান’স ডাইনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা প্রায় সময় কম বয়সী খাসির মাংস কিনে থাকেন। এক্ষেত্রে খাসির হাড় ছোট ও চিকন হয়ে থাকে।
গত ২ মার্চ রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সুলতান’স ডাইন থেকে কাচ্চি বিরিয়ানি আনেন। কাচ্চি বিরিয়ানি খাওয়ার একপর্যায়ে খাসির মাংস নিয়ে সন্দেহ হলে তারা সুলতান’স ডাইনের গুলশান শাখায় ফোন করেন। পরে দুজন লোক নতুন খাবারের প্যাকেট নিয়ে আসেন। ওই সময় প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের সঙ্গে ক্রেতাদের কথা কাটাকাটি হয়। বিষয়টা নিয়ে ফেসবুকে বিস্তারিত লিখে একটি পোস্ট করেন ওই ভোক্তারা। এরপর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।