কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা কাশিতে ভুগছেন বাংলাদেশ ও ভারতের বহু মানুষ। ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস এইচ৩এন২ এর কারণে এমনটা হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। হংকং ফ্লু নামেও পরিচিত মৌসুমী এ ভাইরাস। এবার এ ভাইরাসে আক্রান্ত দুজনের মৃত্যুর কথা জানাল ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।
এইচ৩এন২ সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কর্নাটকের হাসান জেলায় ৮৭ বছর বয়সী একজন পুরুষ এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসান ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ১ মার্চ তার মৃত্যু হয়। ভারতে এইচ৩এন২ ভাইরাসে এটাই প্রথম মৃত্যু।
কর্নাটকের হেলথ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সার্ভিসেস কমিশনার ডা. রনদ্বীপ জানিয়েছেন, ৮৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম হিরা গৌডা। জ্বর, কাশি ও নিঃশ্বাসের সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। আগে থেকে তার হাইপারটেনশন, অ্যাজমা ও কিডনির সমস্যাও ছিল। মৃত্যুর পর ল্যাব টেস্টে গত ৩ মার্চ জানা গেছে, তিনি এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
একই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হরিয়ানায় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, মৃতের বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর। তিনি ফুসফুসের ক্যান্সারে ভুগছিলেন। জানুয়ারি মাসে তিনি এইচ৩এন২ পজিটিভ শনাক্ত হন। ৮ মার্চ বুধবার হরিয়ানার জিন্দে নিজ বাড়িতে তার মৃত্যু হয়।
অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) বলেছে, এইচ৩এন২ ভাইরাস কোভিডের মতো সংক্রামিত হয়। এজন্য সুরক্ষামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মাস্ক পরিধানের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ভারত সরকারের পরিকল্পনা বিভাগ নীতি আয়োগ এইচ৩এন২ ভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আগামীকাল শনিবার আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা ডেকেছে।
ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ৯ মার্চ বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এইচ৩এন২ সহ ইনফ্লুয়েঞ্জার বিভিন্ন উপধরনে মোট ৩ হাজার ৩৮ জনের আক্রান্ত হবার কথা ল্যাবরেটরি টেস্টের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এরমধ্যে এইচ৩এন২ ও এইচ১এন১ ভাইরাসে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি হতে হচ্ছে বেশি। চলতি মাসের শেষ নাগাদ এইচ৩এন২ বা হংকং ফ্লুতে আক্রান্তের হার কমতে থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।