রাজধানীর গুলশানে সুলতান’স ডাইনে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ। অভিযানে কিছু অসংগতি পেয়েছে মনিটরিং টিম। ৯ মার্চ, বৃহস্পতিবার দুপুরে এ অভিযান চালানো হয়।
আগামী ২০ মার্চে মধ্যে সকল অসংগতি ঠিক করার জন্য সুলতান’স ডাইনেকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। কাচ্চিতে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরিপ্রেক্ষিতে এ অভিযান চালায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ।
অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিসংখ্যান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক (উপ-সচিব) মো. কাওছারুল ইসলাম সিকদার।
কাওছারুল ইসলাম সিকদার বলেন, তাদের এখানে অননুমোদিত ফিরনি, অপরিষ্কার পরিবেশসহ কিছু অসংগতি পেয়েছি। এছাড়া মাংস কেনার ক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে বলেছি সরকার অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান থেকে মাংস কিনতে। অন্যদিতে তাদের কর্মীরা হাইজিন ছিল না। আমরা বলেছি, কর্মীরা যেন হাইজিন মেইনটেন করে। অ্যাপ্রন ও হ্যান্ড গ্লোভস পরে, নিয়মিত হেলথ চেকআপ করে। সব হোটেলের জন্য পালনীয় যে নির্দেশনা আছে, তা যেন ফলো করে। তাদের রান্না লাইভ করতে বলেছি।
তিনি আরও বলেন, অসংগতিগলো ঠিক করতে আমরা তাদের সময় বেঁধে দিয়েছি। রমজানের আগে আমরা আবার এসে দেখব।
কাচ্চিতে অন্য প্রাণীর মাংস দেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযানে অংশ নেওয়া একজন কর্মকর্তা বলেন, তেমন কিছু আজ এখানে পাইনি। তবে কিছু অসংগতি ছিল, যেমন- হাইজিনিং, ফুড সেফটি। এছাড়া তারা যে ফিরনি বিক্রি করে সেটার বিএসটিআইয়ের লাইসেন্স ছিল না। এসব বিষয়ে তাদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। সবকিছু ঠিট করতে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তারা যেখানে ডিশ ওয়াশ করে সেই জায়গা পরিচ্ছন্ন ছিল না, তার পাশে আবার টয়লেট। তারা রান্নার কাজে বালতি সামগ্রী ব্যবহার করছে সেগুলো ফুড গ্রেড না। এছাড়া আমরা তাদের কয়েকজন কর্মীর তাৎক্ষণিক টেস্ট করি। তাদের কারও হাতই জীবাণুমুক্ত ছিল না।
রান্না ঘরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা। এসব কিছু ঠিক করতে তাদেরকে ২০ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তারা যদি সংশোধন না হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।