জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম ওরফে লালুসহ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তার গলা কাটা হয়। পরে সেই ঘটনা অন্যদিকে প্রবাহিত করতে নামাজ থেকে ফিরে এসে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পাওয়ার নাটক করেন স্বামী সিরাজুল ইসলাম।
গ্রামবাসী ও নিহতের স্বজনরা জানান, প্রায় ১৩ বছর আগে সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে পান্না বেগমের বিয়ে হয়। তবে পান্না বেগমের সন্তান হচ্ছিল না। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) পান্না বেগম সারাদিন স্বামীর সঙ্গে সরিষা মাড়াইয়ের কাজ করেন। রাত ৮টার দিকে স্বামী সিরাজুল ইসলাম ও ভাসুর আসাদুল ইসলাম শবে বরাতের নামাজ পড়তে মসজিদে যান। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে স্বামী সিরাজুল ইসলাম বাড়ি ফিরে স্ত্রীর মরদেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দেন। তখন প্রতিবেশীরা গিয়ে ঘরের মেঝেতে পান্না বেগমের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর রাত ১১টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় এবং স্বামীসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।
আরও পড়ুন : শবে বরাতের নামাজ থেকে ফিরে স্ত্রীর গলাকাটা লাশ দেখতে পেলেন স্বামী
আক্কেলপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, গৃহবধূর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গৃহবধূর স্বামী ও ভাসুরসহ চারজনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ঢাকা পোস্টকে বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সিরাজুল ইসলাম স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কেন এই হত্যাকাণ্ড এবং এ ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা জানার চেষ্টা চলছে।