পর্নোগ্রাফির ঘৃণিত পেশা পরিবর্তন করে সাধারণ জীবিকার পথ বেছে নিয়েছেন এমন অনেক পর্নশিল্পী রয়েছেন। রঙিন জগতে বিপুল জনপ্রিয়তা পাওয়ার পরেও জীবনের একটি পর্যায়ে এসে পেশার দিক পরিবর্তনের পথ বেছে নিয়েছেন তারা। এ কারণে তারা বিপুল সমালোচনারও সম্মুখীন হয়েছেন একটি ভিন্ন পেশা বেছে নেওয়ার জন্য। চলুন জেনে নিই এমন ৫ জন নীল তারকাদের গল্প।
১. মিয়া খলিফা
লেবাননের বংশোদ্ভূত অভিনেত্রী কয়েক বছর আগে পর্নহাবসহ বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে সবচেয়ে পর্নস্টার হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। কিন্তু তার শিল্পের জন্য সমালোচনার সম্মুখীন হওয়ার পর নাটকীয়ভাবে তিনি পর্নোগ্রাফি ছেড়ে চলে যান। খ্রিস্টান হিসেবে বেড়ে ওঠা মিয়া, তার ভিডিওর বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়তার পর আইএসআইএস এবং অন্যান্য চরমপন্থীদের কাছ থেকে মৃত্যুর হুমকি পেতে থাকেন। এর পরেই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তারপর থেকে মিয়া একজন ক্রীড়া ধারাভাষ্যকারের পদে নিযুক্ত হন কিন্তু তিনি স্বীকার করেছেন যে ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর তার পক্ষে ‘স্বাভাবিক’ চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন ছিল।
২. ইভা এঞ্জেলিনা
পুরস্কার প্রাপ্ত আমেরিকান পর্নশিল্পী ইভা মাত্র ১৮ বছর বয়সে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে পদার্পণ করেন। ২০১৯ সালে তিনি হঠাৎই ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর তিনি ফ্লোরিডার সেন্ট পিটার্সবার্গ ফায়ার ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে ফায়ার ফাইটার হিসেবে নিযুক্ত হন।
৩. ব্রিটনি ডেলা মোরা
ব্রিটনি সাত বছর ধরে পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন এবং তার পর্নোগ্রাফির ক্যারিয়ারের শীর্ষে প্রতি মাসে ৩০ হাজার ডলার আয় করেছেন বলে অনুমান করা হয়। নাটকীয়ভাবে ইন্ডাস্ট্রিজ ছাড়ার পর তিনি ও তার স্বামী একটি চার্চের মিনিস্টারের পদে নিযুক্ত হন।
৪. টিফানি মিলান
পর্ন ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশের আগে ১৯৮০ এর দশকের শেষের দিকে গর্জিয়াস লেডিস অব রেসলিং এর সদস্য হিসেবে খ্যাতি পেয়েছিলেন টিফানি। তিনি দুই বছরের ব্যবধানে ১০০ টিরও বেশি অ্যাডাল্ট চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। এমনকি তার নিজস্ব চলচ্চিত্র প্রযোজনা সংস্থাও চালু করেছেন, যা একটি নারীবাদী তির্যকতার সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে। ইন্ডাস্ট্রি ছাড়ার পর তিনি একজন লাইসেন্সপ্রাপ্ত ব্যক্তিগত তদন্তকারী হিসেবে নিজের পেশা বেছে নিয়েছেন।
৫. মেরি ক্যারে
মেরি প্রাপ্তবয়স্ক চলচ্চিত্র জগতে একটি অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তবে ২০০৭ সালে তিনি পর্নোগ্রাফির দুনিয়া ছেড়ে জীবনের নতুন দিশা সন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন। ২০২০ এর শুরুর দিকে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে মেরি জানান যে তিনি বক্সিংয়ের জগতে পদার্পণ করতে চান।