পুরুষ নয়, মেয়েদের উচিত টাকার পেছনে ছোটা: উরফি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীপিকা, ক্যাটরিনাদের চেয়ে বেশি জনপ্রিয় উরফি আযাদ।তার অদ্ভূত ফ্যাশন সেন্স তাকে এ পরিচিতি এনে দিয়েছে। বর্তমানে তার ব্যক্তিত্ব অনন্য উচ্চতায় গেলেও

অতীতটা খুব মসৃণ ছিল না। বাবার হাতে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন এ সাহসী কন্যা। শুধু তাই নয়, অসহনীয় নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে আত্নহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন—এমনটিই জানিয়েছেন উরফি।

খোলাখুলি কথা বলার জন্য বারবার বিতর্কের কেন্দ্রে আসেন উরফি, তবে কোনো বিতর্ককে পাত্তা দেন না । কারণ জীবনটা নিজের মত এনজয় করতে চান। ছেলেবেলায় মারাত্মক ট্রমার মধ্যে দিয়ে দিন কাটিয়েছেন, বাবার হাতে প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হতেন উরফি, পিতার হাত থেকে রেহাই পেত না তার মা ও বোনেরাও। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন উরফি। এক ম্যাগাজিনকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে নিজের অতীতের অন্ধকার দিক নিয়ে মুখ খুলেছেন এ অভিনেত্রী।

শিশুকালে উরফির জীবনের ত্রাস ছিল তার বাবা। লখনউয়ের রক্ষণশীল পরিবারে জন্মানোটাই অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছিল উরফির কাছে। তার কথায়, বাবা আমাদেরকে প্রচণ্ড মারধর করত। আমার মাকেও মারত, আর গালিগালাজ করাটা তো রোজকার ঘটনা ছিল। বেশ কয়েকবার আমি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলাম।

বাড়ি থেকে বাইরে বের হওয়ার অনুমতি ছিল না, সেই কারণে সময় কাটাতে টেলিভিশনে নজর রাখতেন উরফি। উরফি জানান, ছোটবেলায় অর্থাভাব আমার সঙ্গী ছিল। সেইসময় হাতে পয়সা থাকত না। তখন থেকে আমার মনে হতো কোনো পুরুষের পেছনে নয়, মেয়েদের উচিত টাকার পেছনে ছোটা।

নিজেকে গণ্ডির মধ্যে বেঁধে রাখতে চাননি উরফি। শরীর নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই তার। তার বোল্ড ফ্যাশন স্টেটমেন্ট দেখলে রক্ষণশীলদের চোখ কপালে উঠত।