কোটিপতি ভেবে আদিলকে বিয়ে রাখির! আসলে গাড়িচালক, মাথায় টাক-উভকামী

বিয়ে করেছিলেন কোটিপতি ভেবে! কিন্তু দক্ষিণ কর্নাটকে অবস্থিত বর্তমান স্বামী আদিল খান দুরানির মাইসুরুর বাড়িতে গিয়ে তার আসল পরিচয় জানলেন বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। স্বামীর সম্পর্কে সবকিছু জেনে কান্নায় ভাঙে পড়েন তিনি। রাখির সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে সেই ভিডিও।

ওই ভিডিওতে রাখিকে বলতে শোনা যায়, তিনি শ্বশুরবাড়ি গেছেন, একটি দোতলা বাড়ি দেখিয়ে বলেন, সেটা আদিলের বাড়ি। কিন্তু সেখানে দেখা যায় দরজায় তালা দেওয়া। তালা ভাঙারও চেষ্টা করেন রাখি। এরপর রাখিকে কথা বলতে দেখা যায় আদিলের প্রতিবেশীদের সঙ্গেও।

রাখি প্রতিবেশীদের জানান, আদিলের মায়ের চিকিৎসার জন্য তিনি আদিলকে টাকা দিয়েছিলেন। তবে আদিল সেটা খরচ করেননি। তাই তার মা মারা যান। আদিলের প্রতিবেশীদের কাছে নিজেকে ফাতিমা বলে পরিচয় দেন রাখি। প্রতিবেশীরা রাখিকে জানান, আদিলের মা কারও সঙ্গে কথা বলেন না।

বান্ধবী শার্লিন চোপড়ার সঙ্গে মাইসুরু শহরে গিয়েছিলেন রাখি। সেখানে গিয়ে তিনি জানতে পারেন, আদিল এর আগে তাকে যা বলেছেন, সবটাই মিথ্যা। জানতে পারেন, আদিলের মাথায় আদপে কোনো চুল নেই, পুরোটাই টাক, আদিল আবার উভকামী।

মাইসুরুতে আদিলের প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করে তার মাথার টাকের কথা জানতে পারেন রাখি। আদিল আসলে পেশায় গাড়িচালক, বস্তিতে থাকেন। অথচ রাখির কাছে কোটি টাকার গল্প শুনিয়েছিলেন আদিল খান দুরানি।

একটি ভিডিওতে রাখিকে বলতে শোনা যায়, ‘আমি জানতাম না যে আদিল আব্বাসজির ড্রাইভার। আমি ওর বাড়ি দেখতে এসে জানতে পারি আদিল আসলে বস্তিতে থাকে, গরিবদের বলে আমার কোনো সমস্যা নেই। তবে মিথ্যা বলাও উচিত নয়।

এখানেই শেষ নয়। রাখি জানিয়েছেন, তিনি মাইসুরুর আদালতে আদিলের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। মাইসুরু পুলিশের কাছে ইরানি মহিলার আনা একটি ধর্ষণের মামলায় আদিলকে মাইসুরু আদালতে তোলা হয়।

রাখি বলেন তিনি তার শ্বশুরের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা সাফ জানিয়েছেন, বউমা হিসাবে তাকে (রাখিকে) কোনোভাবেই মানবেন না। কারণ তিনি হিন্দু ধর্মের। এদিকে রাখির দাবি, তিনি আদিলকে বিয়ে করার জন্য ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন।

বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে, আদিলের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের ওশিওয়ারা থানায় শারীরিক নির্যাতন, পরকীয়া ও প্রতারণার অভিযোগ আনেন রাখি। ইতোমধ্যে আদিলকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এছাড়া আদিলের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাঁচ বছর সহবাসের অভিযোগও এনেছেন এক ইরানি মহিলা।