হিরো আলম শস্তা গান আর মিউজিক ভিডিও বানান বলে অনেকে অভিযোগ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। তার গানগুলো রুচিশীল নয় বলেও অনেকে তা দেখেন না বলে অভিযোগ করেন। তবে এবার হিরো আলম দর্শকের সামনে এলেন নতুন স্টাইলে। ‘তুই কবে যে বুঝবি বল’ গানে যেন হিরো হয়েই মানুষের সামনে হাজির হলেন হিরো আলম। সম্প্রতি হিরো আলম গণমাধ্যমকে বলেন, এবার তিনি ভালো মানের কাজ করবেন।
শুধু তাই নয়, তার কিছু গান, মুভি নিয়ে হাসাহাসির পাশাপাশি ব্যাপকভাবে ট্রল করত দর্শকরা। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে দর্শক ও অনুরাগীদের মাঝে নিজেকে অন্যভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন এই অভিনেতা।সম্প্রতি বগুড়ার দুটি আসন থেকে নির্বাচন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন।
১ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে একটি আসনে তিনি অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এরপর হয়ে উঠেন টক অব দ্য কান্ট্রি। তাকে নিয়ে সর্বত্র আলোচনার ঝড় বইছে।
হিরো আলমের কাছে জানতে চাওয়া হয় বর্তমানে কাজের ক্ষেত্রে কোনো পরিবর্তন আনবেন কিনা। এমন প্রশ্নে তিনি জানিয়েছেন, আগের কিছু গান ও নাচ নিয়ে মানুষ হাসাহাসি বা ট্রল করেছে।
এ বিষয়ে আমি অবগত। তবে এখন আমি আগের হিরো আলম নেই। এগুলো ছেড়ে দিয়েছি কিন্তু ছেড়ে দিলেও আগের ভিডিওগুলোই কিছু মানুষ বারবার শেয়ার দিয়ে আমাকে ট্রলের মধ্যে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে।
তিনি বলেন, নতুন করে কোনো হাস্যকর বা তুচ্ছতাচ্ছিল্য হয় এমন গান, সিনেমা, মডেলিং করব না। এখন থেকে যে কাজই করি না কেন কাজটি মানসম্মত করব। হিরো আলম আরও বলেন,
ইতোমধ্যে কাজের অনেক পরিবর্তন এনেছি। হাস্যকর, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করবে মানুষ এমন কাজ তো করবই না। বরং মানুষের যে ভালোবাসা পেয়েছি, সেই ভালোবাসা ধরে রাখার জন্য সব সময় ভালো কাজের মধ্যে থাকব।
কিভাবে নিজেকে বদলালেন- এমন প্রশ্নে হিরো আলম বলেন, আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে থাকেন। আমি ধৈর্য ধরেছি। মানুষ একসময় আমি কোনোকিছু করলেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করত,
গালি দিত— এটা আমি বুঝতে পারতাম; তারপরও লেগে থাকতাম। তবে আমি বিশ্বাস করতাম, শত্রুরাও আমাকে বুকে টেনে নেবে। মানুষের ভুল ভাঙবে। সেটা ভেঙেছে। আগামীতে আরও ভাঙবে।