বগুড়ার দুই আসনে উপনির্বাচনে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী আলোচিত ইউটিউবার আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলম নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানাকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে গণভোট দাবি করেছেন।
তিনি বলেন, হিরো আলম এবং তানসেনের (জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন) মধ্যে গণভোট দেন। জনগণ ভোট দিয়েছে কি দেয়নি, ফলাফল চুরি করেছেন কিনা সেটাও আমি দেখাবো।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, হিরো আলমের ফল পাল্টানোর অভিযোগের ভিত্তি নেই। উপনির্বাচনের ফলাফল শতভাগ সঠিক। তার ওই বক্তব্যের জবাবে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) হিরো আলম এসব কথা বলেন।
হিরো আলম বলেন, গণভোটে প্রতিটা কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা দেবেন এবং যারা নির্বাচন কমিশনার আছেন তারা সবাই সেই ভোট দেখবেন। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি- আমি আর কোনো দিন নির্বাচন করবো না, নির্বাচনের নাম মুখে আনবো না, যদি গণভোটের মাধ্যমে হেরে যাই। তাহলে আমার বলার কিছু নেই।
তিনি বলেন, আমি চাই গণভোট হবে ব্যালটে। কারণ ইভিএমে কারচুপি হয়। আর কারচুপি করেই আমাকে হারিয়ে দিয়েছে তারা। আমি এখন কাহালু উপজেলার প্রতিটা কেন্দ্রে ঘুরছি। ভোটাররা আমার হেরে যাওয়া মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছে আপনার সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে।
হিরো আলম বলেন, আমি ফল প্রত্যাখ্যান করেছি। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যে আদালতে রিট করবো। আশা করছি সেখানে আমার পক্ষে ফল আসবে।
এ আগে উপনির্বাচনের দুই দিন পর শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে বগুড়ার কাহালু উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলেন এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করেন হিরো আলম। পরে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বগুড়া-৪ (কাহালু ও নন্দীগ্রাম) আসনের উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী জাসদ নেতা রেজাউল করিম তানসেন বিজয়ী হয়েছেন। মশাল প্রতীক নিয়ে তিনি পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হিরো আলম একতারা প্রতীকে ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট পেয়েছেন। তিনি মাত্র ৮৩৪ ভোটে হেরে গেছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই আসনে ভোটগ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এই আসনের ৩ লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯ জন ভোটারের মধ্যে ৭৮ হাজার ৫৭০ জন ভোট দেন। যা শতকরায় ২৩ দশমিক ৯২ শতাংশ।