জয়ের আশা জাগিয়ে হেরে গেলেন আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। সর্বশেষ ৮৩৪ ভোটের ব্যবধানে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে পরাজিত হন তিনি। রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৪০৫ ভোট আর হিরো আলম একতারা প্রতীকে পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন।
হিরো আলম গণমাধ্যমে এখন পর্যন্ত কোনো কথা না বললেও রাতেই প্রেস কনফারেন্স করার কথা জানিয়েছেন। কখন করবেন সেই সময় এখনো জানা যায়নি। তার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট জামান রায়হান বলেন, মানুষ হিরো আলমকে ভোট দিয়েছেন। ভোটে তিনি নির্বাচিত। এই ফলাফল তিনি কোনোভাবেই মেনে নেননি।
ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, কাহালু ও নন্দীগ্রাম উপজেলার ১১২টি কেন্দ্রে মোট বৈধ ভোট পড়েছে ৭৮ হাজার ৫২৪টি। এর মধ্যে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে জয়ী হয়েছেন ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেন (মশাল)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আশরাফুল হোসেন (একতারা) পেয়েছেন ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। এ ছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশফিকুর রহমান (ট্রাক) ১০ হাজার ৭৯১ এবং কামরুল হাসান সিদ্দিকী (কুড়াল) ১০ হাজার ৪৪২ ভোট পেয়েছেন।
বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত এই সংসদীয় শূন্য আসনের উপনির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ বিরতিহীনভাবে সম্পন্ন হয়েছে। বগুড়া-৪ আসনে মোট ভোটার তিন লাখ ২৮ হাজার ৪৬৯। এর মধ্যে কাহালুতে ৯০ হাজার ৯৬৩ জন নারী এবং ৮৯ হাজার ৮৮০ জন পুরুষ ভোটার। নন্দীগ্রামে ৭৪ হাজার ৪৭১ জন নারী এবং ৭৩ হাজার ১৫৫ জন পুরুষ ভোটার।
বিএনপির ছেড়ে দেওয়া ছয়টি আসনে বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোটগ্রহণ করা হয়েছে। বগুড়া সদর ও নন্দীগ্রাম-কাহালু আসনে উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েছিলেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচিত ব্যক্তি আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম।