দেড় বছর আগে সেলিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় ওই নারীর। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তবে ছয়মাস আগে শুরু হয়পারিবারিক কলহ। এ সুযোগে বিভিন্নভাবে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকেন জাকির। একপর্যায়ে তিনমাস আগে জাকিরের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ। ওই সম্পর্কের জেরে শুক্রবার ভোরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পালানোর সময় ভাসুর জাকির হোসেনকে আটক করে স্থানীয়রা।
ঘটনাটি ঘটেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী থানার ১৫ নম্বর দেবীপুর ইউপির মুজার্বনী হাজীপাড়া গ্রামে।
জানা যায়, দেড় বছর আগে সেলিমের সঙ্গে পারিবারিকভাবেই বিয়ে হয় ওই নারীর। ভালোই চলছিল তাদের সংসার। তবে ছয়মাস আগে শুরু হয়পারিবারিক কলহ। এ সুযোগে বিভিন্নভাবে ছোট ভাইয়ের স্ত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিতে থাকেন জাকির। একপর্যায়ে তিনমাস আগে জাকিরের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন ওই গৃহবধূ।
এরপর জাকিরের কথা মতো সেলিমকে তালাক দেন ওই নারী। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী শুক্রবার ভোরে দেবীপুরের বাবার বাড়ি থেকে ভাসুরের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে স্থানীয়রা।
ওই নারীর বাবা বলেন, পারিবারিকভাবে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছিলাম। জামাই অনেক ভালো মানুষ। তার বড় ভাই একজন লম্পট। আমার মেয়ে তার রোষানলে পড়েছে। আমার মেয়েকে পাচারের উদ্দেশ্যে প্রেমের নাটক সাজিয়েছেন ওই জাকির। আমি এর বিচার চাই।
ওই নারী বলেন, আমার ভাসুর প্রায় আমাকে ফোন দিতেন। ভালোমন্দ কথার বলার একপর্যায়ে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেন। আমি প্রথমে রাজি না হলেও একসময় রাজি হই। তার কথামতই আমার স্বামীকে তালাক দিয়েছি।
অভিযুক্ত জাকির হোসেন বলেন, আপন ছোট ভাইয়ের বউয়ের সঙ্গে এমন করা আমার ঠিক হয়নি। শয়তান আমার মাথা নষ্ট করে দিয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য সইমদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে এর আগে ঝামেলা হয়েছিল। আমরা পারিবারিকভাবে সমাধান করে দিয়েছি। মেয়ের ভাসুর জাকির হোসেন একজন লম্পট প্রকৃতির ব্যক্তি।
ভূল্লী থানার ওসি একে এম আতিকুর রহমান বলেন,এ ঘটনায় কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।