রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়েছেন ১৯ মাদরাসা ছাত্রী। এ সময় জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন কয়েকজন ছাত্রী। পরে তাদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী উপজেলা ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটেছে ওই এলাকার মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসায়।
অসুস্থ ছাত্রীরা হলেন- শারমিন (১১), লামিয়া (৯), ইসরাত (১০), লামিয়া (৭), হাসি (১২), তান্নি (৯), মীম (৮), ইশিতা (৮), তহুরা (১১), ফোরকান (১১), কুলসুম (১০), আমেনা (১১), তাসলিমা (১০), ইমা (১১), শারমিন (১২), খাতিজা (৬), সাহেহা (৭), সুমাইয়া (৫) ও নাহিদা (১১)। এরমধ্যে গুরুতর কয়েকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার বিকেলে স্থানীয় একজনের বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার খেয়ে মাদরাসার ১৯ জন ছাত্রী পেটের পিড়া দেখা দেয়। এ সময় কয়েকজন জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। খবর পেয়ে অসুস্থ ছাত্রীদের উদ্ধার করে গোদাগাড়ী ৩১ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করে পুলিশ। তবে খাবারে বিষক্রিয়া হওয়ায় ছাত্রীদের বমি ও পেটের পীড়া দেখা দেয়।
মাদরাসাতুল হুদা বালিকা হাফেজিয়া মাদরাসার সুপার মুজিবুর রহমান জানান, বুজরুকরাজারামপুর এলাকায় খাইরুল ইসলাম নামে একজনের বাড়িতে বিয়ের দাওয়াত খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ছাত্রীরা। ওই খাবার খাওয়ার পর আর কোনো খাবার খাননি তারা।
রাজশাহী জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবু সাঈদ ফারুক জানান, ছাত্রীরা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বুধবার দুপুরে তারা মুরগির মাংস, শাক, ডাল ও ভাত খেয়েছেন। তবে কী কারণে এমন হয়েছে, সেটি এখনই বলা যাচ্ছে না। আপাতত তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। তবে ছাত্রীদের মধ্যে কারো অবস্থা গুরুতর নয়।
গোদাগাড়ী মডেল থানা ওসি কামরুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকেলে ছাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা চলছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে বলে জানান তিনি।