বলিউড আইটেম গার্লখ্যাত নোরা ফাতেহির সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল সুকেশ চন্দ্রশেখরের। নোরাকে বিলাসবহুল গাড়ি থেকে দুই কোটি টাকার ব্যাগও নাকি দিয়েছেন এ ভারতীয় ব্যবসায়ী।
২০০ কোটি রুপির আর্থিক কেলেঙ্কারির মামলায় বর্তমানে জেলে রয়েছেন সুকেশ। সেখান থেকেই লেখা এক চিঠিতে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি তুলেছেন তিনি।
সুকেশ চিঠিতে লিখেন, ‘জ্যাকুলিন আমার থেকে কিছু চায়নি, আমিই ভালোবেসে ওকে সব দিয়েছি। ২০০ কোটি টাকার আর্থিক তছরুপ সম্পর্কে ও কিছুই জানত না।’
সুকেশের দাবি, কিছুদিন আগেই নোরা আবেদন করেছিলেন যে, জ্যকুলিন তাকে বিনা কারণেই অপমান করছেন। তার সম্মানহানি করতে ও তার কেরিয়ার শেষ করে দিতেই তার নাম জড়িয়েছে এই মামলায়। কিন্তু তা সত্যি নয়।
২০ তারিখে লেখা চিঠিতে সুকেশ আরও দাবি করেন, ইডির কাছে নোরা যে স্টেটমেন্ট দিয়েছিলেন আর ইকোনমিক অফেন্স উইং-এ যে স্টেটমেন্ট তিনি দিয়েছেন, সেই দুটি আলাদা। এর পিছনে নোরার খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে, সেই কারণেই তিনি পুরো বিষয়টি ম্যানিপুলেট করতে চাইছেন।
সুকেশ চন্দ্রশেখর লেখেন, নোরা বরাবরই জ্যাকুলিনকে হিংসে করতেন। জ্যাকুলিনের বিরুদ্ধে সুকেশের ব্রেনওয়াশ করতেও পিছপা হননি নোরা। নোরা চাইতেন যে, সুকেশ জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে তার সঙ্গে থাকুন। নোরা তাকে দিনে ১০ বার ফোন করতেন। ফোন না তুললে তিনি ক্রমাগত ফোন করেই যেতেন।
সুকেশের থেকে বিলাসবহুল গাড়ি নিতে অস্বীকার করেন, একথা সর্বৈব মিথ্যে বলেও চিঠিতে জানান তিনি।
তিনি আরও লেখেন, ‘নোরা নিজের গাড়ি চেঞ্জ করতে মরিয়া হয়ে উঠেছিল। ওর নিজের গাড়িটাকেই ওর চিপ মনে হত। আমিই ওকে গাড়ি কিনে দিই। সেই চ্যাটের সব স্ক্রিনশট আমি ইডিকে প্রমাণ হিসাবে পাঠিয়েছি। ওকে রেঞ্জ রোভার কিনে দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিএমডাব্লিউ ফাইভ সিরিজ কিনে দেওয়া হয়। কারণ ওর তখন খুব তাড়া ছিল। ঐ গাড়িটি নিজের নামে না নিয়ে ওর বন্ধুর বর ববি খানের নামে রেজিস্টার করায় নোরা।’
সুকেশের দাবি, ‘নোরার সঙ্গে কখনও প্রফেশনাল লেনদেন হয়নি, শুধুমাত্র একটি ইভেন্টের জন্য তাঁকে একবার অফিসিয়াল পেমেন্ট দেওয়া হয়েছিল। জ্যাকুলিনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলাম, তাই নোরাকে এড়িয়ে চলতাম। ববির মিউজিক কোম্পানি তৈরিতেও সাহায্য চেয়েছিল নোরা। আমি টাকাও দিয়েছিলাম। এমনকি নোরা বিভিন্ন সময়ে হার্মেসের ব্যাগ, জুয়েলারি চেয়েছে, সব কিনে দিয়েছি। ওর ব্যাগের দাম ২ কোটি টাকা। মরক্কোয় বাড়ি কেনার জন্য বিশাল অঙ্কের টাকাও নিয়েছে নোরা।’
নোরা ইডিকে জানিয়েছে, ‘আমাকে সুকেশের স্ত্রী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে চেন্নাইয়ে একটি ইভেন্টে আমন্ত্রণ করে। সেখানেই আমাকে উপহারস্বরূপ একটি আইফোন, গুচি ব্যাগ ও একটি বিএমডাব্লিউ দেওয়া হবে জানানো হয়। আমি ব্যাগ ও ফোন নিলেও গাড়িটি আমার জামাইবাবুকে দেওয়া হয়। সে ২০২১ সালে আর্থিক কারণে ঐ গাড়িটি বিক্রি করে দিয়েছে।’
২০০ কোটি রুপি আর্থিক কেলেঙ্কারির অভিযোগে অভিযুক্ত অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজ। এ সংক্রান্ত মামলার এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি) চার্জশিট এরইমধ্যে জমা পড়েছে দিল্লি পাটিয়ালা আদালতে।
ইডি বলছে, মামলার প্রধান আসামি কোনম্যান সুকেশ চন্দ্রশেখর জ্যাকলিনের জন্য তিন দেশে বাড়ি কিনেছিলেন। এর মধ্যে রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাহারাইন, ভারত। মুম্বাইয়ের জুহুতে জ্যাকলিনের জন্য সুকেশ বাংলো কিনে অ্যাডভান্সও করেছিলেন।