বান্দরবানের রুমায় আটক জঙ্গিদের দেখানো কবর খুঁড়েও কোনো মরদেহের সন্ধান মেলেনি। তবে কবরের পাশ থেকে মাথার একটি ব্যান্ড ও কাপড় পাওয়া যায়, যা দেখে কুমিল্লায় নিখোঁজ হওয়া আমিনুল ইসলাম আলামিনের বলে শনাক্ত করেছেন তার বাবা নুরুল ইসলাম। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে উপজেলার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম লুয়ংমুয়াল পাড়া এলাকার পাহাড়ে সন্ধান পাওয়া কবরটি খোঁড়া হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন রুমা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মামুন শিবলী। তিনি বলেন, আদালতের নির্দেশে আটক ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার’ সদস্যদের দেখানো কবরটি খুঁড়ে মরদেহ পাওয়া যায়নি। তবে কিছু কাপড় পাওয়া গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১১ জানুয়ারি জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার পাঁচ সদস্যকে বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও থানচি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া আমিনুল ইসলাম আলামিনের কবরের সন্ধান জানান আটক সদস্যরা। এমন তথ্যের ভিত্তিতে রোববার ইউএনও, নিখোঁজ আলামিনের বাবা, পুলিশ ও র্যাবের একটি দল দুই জঙ্গিকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।
তবে জঙ্গিদের দেখানো কবরটি খুঁড়ে মরদেহ পাওয়া যায়নি। কবরের পাশে মাথার একটি ব্যান্ড ও কাপড় দেখে তা আলামিনের বলে শনাক্ত করেন বাবা নুরুল ইসলাম।
নুরুল ইসলাম বলেন, ‘পরিবারের বাধ্য সন্তান ছিল আলামিন। নিয়মিত নামাজ আদায় করতো। কীভাবে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে ছেলেকে এ জঙ্গলে নিয়ে এসেছে বুঝতে পারছি না। ছেলেকে হারানোর বুকফাটা কান্না আল্লাহ ছাড়া কেউ বুঝবে না। যারা আলামিনকে ভুল পথে নিয়ে আমার বুক খালি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।’
র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে আটক জঙ্গিরা জানান, কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ আমিনুল ইসলাম আলামিন জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। ২৫ নভেম্বর প্রশিক্ষণরত অবস্থায় অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি। পরে তাকে দাফন করা হয়। এমন তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার অভিযানে যায় র্যাব। কিন্তু তাদের দেখানো কবর খুঁড়ে মরদেহ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।