সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের বিরুদ্ধে। তাদের গুলি ও মারধরে এক বৃদ্ধা ও এক যুবক গুরুতর আহত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার দুপুর ২টায় তাহিরপুর উপজেলার উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়ন বুরুঙ্গা ছড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলি ও মারধরে আহতের ঘটনরা সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই আরিফ আহমেদ।
এ ঘটনায় তাহিরপুর উপজেলার টেকেরঘাট সীমান্তবর্তী এলাকাবাসী ও বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। উভয়পক্ষ সীমান্তে টহল জোরদার করেছে।
গুলিবিদ্ধ যুবকের নাম দোলোয়ার হোসেন। তিনি তাহিরপুর উপজেলার ১ নম্বর উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের বুরুঙ্গা ছড়া গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। মারধরের শিকার অনুফা বেগম (৬৫) একই এলাকার সিরাজ মিয়ার স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানিয়েছে, আজ দুপুরে বুরুঙ্গা ছড়া গ্রামের পিছনে সীমান্তবর্তী একটি কূপে গোসল করতে যান অনুফা বেগম। এ সময় পাশ্ববর্তী বিএসএফের টহল দলের সদস্যরা ওই নারীকে সীমান্ত এলাকায় গোসল করতে যাওয়ায় বেধরক মারধর করেন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন এসে বিএসএফের সঙ্গে তর্কে জড়ান। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে বিএসএফের ১৫/২০জনের একটি দল বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বুরুঙ্গাছড়া গ্রামে প্রবেশ করে গুলি চালায়। এতে গুলিবিদ্ধ হন দেলোয়ার হোসেন।
খবর পেয়ে ২৮-বিজিবির সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের টেকেরঘাট কোম্পানি সদরের একটি টহল দল ও ট্যাকেরঘাট পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ এস আই আরিফ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই বিএসএফ সদস্যরা ভারতীয় সীমানায় চলে যায়।
টেকেরঘাট বিজিবির কোম্পানি সদরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নায়েব সুবেদার জাফর আহমেদ জানান, আজ বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় বিকেল ৫টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক করে বিএসএফ ও বিজিবি। পতাকা বৈঠকে ভারতের কম্পানি কমান্ডার দিলীপ সিংয়ের নেতৃত্বে ৭ জন ও বাংলাদেশ পক্ষে ট্যাকেরঘাট বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার জাফর আহমেদের নেতৃত্বে ৭ জন আন্তর্জাতিক সীমান্ত পিলার ১১৯৯ পিলার সংলগ্ন স্থানে পতাকা বৈঠক করে।