গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের যাচাই-বাছাইয়ের পর বাতিল করতে পারবে না জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা)।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী ও বিচারপতি এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
হাইকোর্ট এ রায়ে উল্লেখ করেন, গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সাবকমিটির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে তাদের গেজেট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো এখতিয়ার জামুকার নেই। জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল আইন ২০০২-এর ৭ ধারায় অর্পিত ক্ষমতা বলে গেজেট বাতিলের জামুকার নেই। সে কারণেই ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল সিদ্ধান্তটি বাতিল করেন।
২০০৩ সালে সরকার গঠিত একটি সাত সদস্যের একটি যাচাই-বাছাই কমিটি ৪৭২ মুক্তিযোদ্ধার তালিকা প্রণয়ন করেন। ওই কমিটির সুপারিশের আলোকে পরে ২০০৫ সালে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় রিট আবেদনকারী ২২ নৌকমান্ডোকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে গেজেটভুক্ত করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রীয় সম্মানী ভাতা প্রদান করে আসছেন।
কিন্তু কিছু অতিউৎসাহী ব্যক্তির স্বেচ্ছাচারী কর্মকাণ্ডের কারণে ওই নৌকমান্ডো মুক্তিযোদ্ধাদের আবারও যাচাই-বাছাইয়ের আওতায় আনা হয় এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে ২২ জন রিট আবেদনকারীসহ ২৪ জন নৌকমান্ডো মুক্তিযোদ্ধার জন্য ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল (৩৫তম সভায়) জামুকা একটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের ৩৫তম সভার ৭ এপ্রিল ২০১৬ সংশ্লিষ্ট ওই সিদ্ধান্তটি বাতিল করে রায় দেন হাইকোর্ট।