সৌদিতে কাশেমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি হত্যা

জমি বন্ধক রেখে চাকরির খোঁজে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের আবুল কাশেম (৩০) সৌদি আরব যান। একটি কৃষি খামারে চাকরি পেলেও মালিক ভালো মানুষ ছিল না। মালিক প্রায়ই তার ওপর নির্যাতন করতো। একপর্যায়ে তাকে হত্যা করে কর্মস্থলেই মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কাশেমের বাবা আলি হোসেন সাংবাদিকদের কাছে এমন তথ্য তুলে ধরেন।

এর আগে রোববার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে (সৌদি সময়) সৌদির তাইফ এলাকার একটি কৃষি খামার থেকে কাশেমের মরদেহ উদ্ধার করে সেখানকার পুলিশ। একইদিন নিহতের জেঠাতো ভাই মানিক হোসেন তাইফ এলাকার থানায় কাশেমের মালিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বলে জানা গেছে। তবে মালিকের নাম বলতে পারেননি পরিবারের কেউ।

নিহত কাশেম লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড মার্টিন গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। প্রায় আড়াই মাস আগে চাকরির খোঁজে কাশেম সৌদি আরব যান। এর আগে দেশে তিনি কৃষি কাজ করতেন। সংসারে তার বাবা-মাসসহ, স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। তার শোকে বাবা-মা ও স্ত্রীসহ স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

নিহত কাশেমের বাবা কৃষক আলী হোসেন জানান, ভালো একটি চাকরির উদ্দেশ্যে প্রায় আড়াই মাস আগে কাশেম সৌদিতে যায়। জমি বন্ধক রেখে নেওয়া ৫ লাখ টাকা খরচ হয়। সেখানে গিয়ে একটি কৃষি খামারে সে চাকরি পায়। চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মালিক তার ওপর অত্যাচার চালাতো। হঠাৎ কাশেমের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবর আসে। কাশেমকে তার মালিক হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রেখেছে। দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি ছেলে হত্যার বিচারের ব্যবস্থা করে দিতে অনুরোধ জানিয়েছে।

কমলনগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান জানান, সৌদিতে এক প্রবাসীর মৃত্যুর খবর শুনেছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করবো। আমাদের পক্ষ থেকে যতটুকু সম্ভব সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।