এবার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিচ্ছেন এক নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু। বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা ৫ মিনিটের দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপের পশ্চিমপাড়া সমুদ্রসৈকত থেকে এ সাঁতার শুরু হয়েছে।
১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়ে তাদের সাঁতার শেষ হবে সেন্টমার্টিনে। সাঁতারের আয়োজন করেছে ‘ষড়জ অ্যাডভেঞ্চার’ ও ‘এক্সট্রিম বাংলা’।
এবারের বাংলা চ্যানেল সাঁতারের প্রধান সমন্বয়ক ও ষড়জ অ্যাডভেঞ্চারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লিপটন সরকার। এখন পর্যন্ত ১৮ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিয়েছেন তিনি। আজ সফল হলে টানা ১৯ বার বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার রেকর্ড গড়বেন।
এবারের সাঁতারুরা হলেন—একমাত্র নারী মোছা. রেজিনা পারভিন, লিপটন সরকার, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ শামসুজ্জামান আরাফাত, শেখ মাহবুব উর রহমান, সাইফুল ইসলাম রাসেল, আবুল কালাম আজাদ, মাসুদ রানা, আলী রওনাক ইসলাম, আবাদুল ইসলাম, মো. জিহাদ হুসেন, সালাহ উদ্দিন, মো. কামাল হোসেন, মো. সোহেল রানা, শৌভিক বড়ুয়া, উজ্জ্বল চৌধুরী, মো. সাকিব মাহমুদ নাইম খান, মো. বদর উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, এসএম শাহরিয়ার মাহমুদ, মো. আবু রাশেদ, মো. গোলাম রব্বানী, আবদুল্লাহ আল সাবিত, শোয়েব তালুকদার, এসকে রায়হান আরাফাত আকাশ, মো. তারেক হাসান, আবদুল্লাহ আল তৌসিফ, মো. জামিল হোসেন, মো. নাসির উদ্দিন, রাশেদুল ইসলাম ও রাব্বি রহমান।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের ছাত্রী রেজিনা পারভিন ইতি বলেন, প্রথম সাগর পাড়ি দেওয়ার অনুভূতি অন্যরকম। এখানে ভয় আছে, আছে ভয়মুক্তির সাহসও।
আয়োজক লিপটন সরকার বলেন, এবার একজন নারীসহ ৩১ জন সাঁতারু অংশ নিচ্ছেন। এ সাঁতার আন্তর্জাতিক রীতি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। বাংলা চ্যানেল সাঁতারকে আন্তর্জাতিক করতে পেরেছি। ধারাবাহিকভাবে এ নৌপথে সাঁতার অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রতিবার সাঁতারুদের অংশগ্রহণই বলে দিচ্ছে বাংলাদেশে দূরপাল্লার সাঁতার জনপ্রিয়।
বঙ্গোপসাগরে দূরপাল্লার সাঁতারের উপযোগী ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দূরত্বের বাংলা চ্যানেল আবিষ্কার করেন প্রয়াত কাজী হামিদুল হক। ২০০৬ সালে প্রথমবারের মতো বাংলা চ্যানেল সাঁতার অনুষ্ঠিত হয়। সেবার সাঁতারে অংশ নিয়েছিলেন লিপটন সরকার, ফজলুল কবির সিনা ও সালমান সাইদ।