লিওনেল মেসির হাতেই উঠেছে বিশ্বকাপ। কিন্তু ৯০ মিনিটের খেলায় সেই কাপ আর্জেন্টিনার পক্ষে চূড়ান্ত না হওয়ায় কারো কোনো ক্ষতি হয়নি, এটা ভাবতেই পারেন, কেননা কাপ তো মেসির হাতে এসেছেই। না, যা ভাবছেন তা নয়। কারো কারো ক্ষেত্রে এতেই বিশাল ক্ষতি হয়ে গেছে।
লিওনেল মেসি ও আর্জেন্টিনার হাতেই উঠবে বিশ্বকাপের সোনালি ট্রফি, বিশ্বাস ছিল র্যাপার ড্রেকের। নীল-সাদা দলের ওপরই এক মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১০ কোটি ছয় লাখ টাকার বেশি) বাজি ধরেছিলেন কানাডীয় গায়ক। রবিবার রাতে কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে ইতিহাস লিখলেন লিও মেসি। ফ্রান্সকে পেনাল্টি শ্যুটআউটে হারিয়ে দীর্ঘ ৩৬ বছর পর বিশ্বকাপ জেতে আর্জেন্টিনা। এই জয়ের সঙ্গেই দুই দশকের ট্রফি খরা কাটল লাতিন আমেরিকার।
মেসির বিশ্বকাপ জয় নিয়ে যখন আবেগে ভাসছে গোটা বিশ্ব, তখনই মাথা ঠুকতে হচ্ছে ড্রেককে। কিন্তু প্রশ্ন হলো- মেসির জয় নিয়ে বাজি ধরেও কেন টাকা খোয়ালেন ড্রেক?
এক ফরাসি সংবাদপত্র সূত্রে জানা গেছে, যে মার্কেটে জুয়া খেলেছিলেন ড্রেক, সেখানে এক্সট্রা টাইমের ফলাফল বিবেচ্য হয় না। ৯০ মিনিটে ম্যাচ জিতলে তবেই সেই স্কোরকে বৈধ বলে গণ্য করা হয়। রবিবার ৯০ মিনিটে খেলার ফল ছিল ২-২। শুরুর ৭৯ মিনিট আর্জেন্টিনা ২-০ গোলে এগিয়ে থাকলেও শেষ মুহূর্তে এমবাপ্পের জোড়া গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় ফ্রান্স।
অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে ফের মেসির গোলে এগিয়ে যায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু ১১৭ মিনিটে ফের পেনাল্টি পায় ফ্রান্স, জালে বল ঢোকাতে বেশি সময় নেননি এমবাপ্পে। পেনাল্টি শ্যুটআউটে ৪-২-এর ব্যবধানে ফ্রান্সকে পরাজিত করে বিশ্বকাপ জেতে লিওনেল মেসির দল।
যদি নব্বই মিনিটের ভেতর ম্যাচ জিততে সফল হতো আর্জেন্টিনা, তাহলে জুয়া খেলে ১.৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার (১০ কোটি ছয় লাখ টাকার বেশি) লাভ করতেন ড্রেক। তবে এই প্রথম এত বড় অঙ্কের টাকা জুয়ায় হারেননি ড্রেক। গত মাসেই ইউএফসির বাউটে ইসরায়েল আদেসানয়ার ওপর বাজি ধরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা পানিতে গিয়েছিল ড্রেকের।
কানাডীয় সিটকম ‘ডেগ্রাসি’র হাই স্কুল স্টুডেন্টের চরিত্রে অভিনয় করে শোবিজ দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ ড্রেকের। সেলিব্রিটি নেট ওর্থের দেওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মালিক এই র্যাপার।