রাজশাহীতে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন বিএনপির সমাবেশস্থল

আজ শনিবার (০৩ ডিসেম্বর) বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় গণসমাবেশ। ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের ভিড়ে সমাবেশস্থল পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তবে সকাল ৯টার পর থেকে হঠাৎ করেই মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পুরো রাজশাহী মহানগর। ফলে সমাবেশে আগত সংবাদকর্মী ও নেতাকর্মীরা অস্বস্তিকর অবস্থার মধ্যে পড়েছেন।

সকালে সমাবেশস্থলের উদ্দেশে মিছিল নিয়ে আসা বিএনপির নেতা-কর্মীরা বলেন, ‘আমাদের মিছিলের লাইভ করার ইচ্ছা থাকলেও নেটওয়ার্ক না পাওয়ায় সেটি করা সম্ভব হয়নি। এমনকি মিছিলের কোনো ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা সম্ভব হয়নি। নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছি না। অনেকে আমাদের আগে এসে কোথায় অবস্থান করছে সেটাও জানতে পারছি না। খুবই বেকায়দায় আছি আমরা। পরিবহন ধর্মঘটের পর এবার নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছি আমরা। এই সরকার আর কত নিচে নামবে? সমাবেশ দেখে তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। যাই করুক জনসমুদ্র ঠেকাতে পারবে না তারা।

এদিকে রাজশাহী শহরে মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় নগরীর বাসিন্দারা তাদের দৈনন্দিন কাজ করতে গিয়ে বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। তাদের দাবি, ডিজিটাল যুগে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন থাকা একটি বড় সমস্যা। এমনটি ঘটছে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের কারণে। এর মাধ্যমে মানুষের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। বিএনপির সমাবেশস্থলে নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন করলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। তবে আমরা নেট পাইলেই হলো।

বিএনপির সমাবেশকে ঘিরে রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমসহ অনলাইন ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার দুই শতাধিক কর্মী ইতোমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন। গণমাধ্যমকর্মীরা জানান, সকাল থেকে অফিসের চাপ থাকলেও নেটওয়ার্ক না থাকার কারণে ছবিসহ লাইভ করতে পারছি না। ভিডিও পাঠাতে পারছি না। অফিসের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।

সংবাদ কাভার করতে আসা জুবায়ের আহমেদ নামে এক গণমাধ্যমকর্মী বলেন, সকাল ৯টার দিকে মোবাইলে একটি নোটিফিকেশন আসার পরে নেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপর থেকে ফোনে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারছি না। অফিসে সংবাদ পাঠাতেও পারছি না।

প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল, চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও দেশব্যাপী দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা-মামলা, হত্যার প্রতিবাদ এবং বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে রাজশাহীতে আজ বিএনপির নবম বিভাগীয় গণসমাবেশ হচ্ছে।