প্রায় দশ মাস ধরে চলা বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদ নিয়ে দ্বন্দ্বের অবসান হয়েছে সম্প্রতি। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়ে পদটির দায়িত্ব পেয়েছেন নিপুণ আক্তার। তাকে মেনে নিয়ে এরই মধ্যে সকল মান-অভিমান ভুলে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণদের সঙ্গে মিলে গেছেন মিশা-জায়েদ প্যানেলের নির্বাচিতরা।
এমনকি গত রবিবার রুবেল-ডিপজল-আলীরাজরা অংশ নিয়েছেন সমিতির কার্যকরী কমিটির মিটিংয়েও। এদিন মিশা-জায়েদ প্যানেল থেকে কার্যনির্বাহী সদস্য পদে বিজয়ী চিত্রনায়িকা মৌসুমী শপথও নিয়েছেন। তাদের ডাকা হয়েছিল চিঠি দিয়ে। তারা সমিতির সেই ডাকে সাড়া দেন।
নির্বাচনের ১০ মাস পেরোতে গেলেও যে প্যানেলের লোকেরা শিল্পী সমিতির কোনো কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেননি, হঠাৎ তারাই ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণদের নেতৃত্বে সমিতিতে আসেন। তবে কি তারা নিপুণকে সমর্থন দিলেন? ভুলে গেলেন নিজেদের প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক পদে শিল্পীদের ভোটে বিজয়ী জায়েদ খানকে?
এ ব্যাপারে জানতে যোগাযোগ করা হয় জায়েদ খানের সঙ্গে। আলোচিত এই অভিনেতা ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘আমার প্যানেলের নির্বাচিতরা নিপুণকে সমর্থন দিয়েছেন, এই তথ্য সঠিক নয়। তারা সমিতিতে গিয়েছিলেন সভাপতির আমন্ত্রণে। যেহেতু তারা নির্বাচিত প্রতিনিধি, তাই সমিতির কার্যক্রমে অংশ নিতেই পারেন।’
জায়েদ খান বলেন, ‘সাধারণ শিল্পী, যাদের ভোটে আমার প্যানেলের প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়েছেন তারা বলছিলেন ওনারা সমিতিতে আসেন না, আমরা কি তাহলে ভোট দিয়ে ভুল করলাম! ভোটারদের সম্মানের জন্য, ভোটের অধিকারের জন্য আমার প্যানেল থেকে নির্বাচিতরা সমিতিতে গেছেন। তার মানে এই নয় যে, তারা নিপুণকে বরণ করতে গেছেন, তারা আমার সঙ্গে নেই।’
নিপুণ যে রায় পেয়েছে সেই রায় তাহলে মানছেন না? জায়েদ খান বলেন, ‘আদালত আগের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, তার মানে নিপুণ বহাল আছে সেটা কিন্তু নয়। আদালতের স্টে অর্ডার পেয়ে নিপুণ একটা অবৈধ রায় নিয়ে সমিতিতে বসে আছে।’
অভিনেতার দাবি, ‘সোহান ভাইয়েরা যে রায় দিয়েছে সেটা কিন্তু আদালতের রায় নয়। সেটা একটা অবৈধ রায়। সেই রায়ের বিরুদ্ধে রিট করেছিলাম। সেটা স্থগিত করেছে। এর বিরুদ্ধে আবার আপিল হবে, আবার শুনানি হবে, তারপর আসবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। চূড়ান্ত রায়কেও রিভিউ করা যায়। প্রক্রিয়ার শেষ নেই।’