পরনে কালো টি-শার্ট। মুখে এক গাল দাড়ি। উস্কোখুস্কো চুল। চোখেমুখে নিঃস্তব্ধতা। ভালোবাসার মানুষকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার ‘কাছের মানুষ’ সব্যসাচী চৌধুরী। রবিবার দুপুর ১২টা ৫৯ মিনিট। হৃদয় ভেঙে খানখান হয়ে গিয়েছে সব্যসাচীর। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুর খবরে শোকের আবহ তৈরি হয়েছে ততক্ষণে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন স্বজনরা। এমন কঠিন সময়ে ওই বেশেই দেখা গিয়েছে সব্যসাচীকে।
ভালোবাসার মানুষ কাছছাড়া হয়েছে। আর কয়েক মুহূর্ত পড়েই তার নশ্বর দেহ চিতার আগুনে বিলীন হয়ে যাবে। তার আগে ‘মনের মানুষ’কে শেষ বার ছুঁয়ে দেখলেন সব্যসাচী। ঐন্দ্রিলার কপালে নিজে হাতে চন্দন পরিয়ে দিচ্ছেন তার লড়াইয়ের সবসময়ের সঙ্গী সব্যসাচী। একটি ভিডিওতে এমন দৃশ্যই ধরা পড়েছে। যা দেখে আবেগতাড়িত হয়েছেন বহু মানুষ।
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, শায়িত রয়েছে ঐন্দ্রিলার দেহ। পাশে ঠায় বসে রয়েছেন সব্যসাচী। তারপর নিজে হাতে প্রিয়জনের কপালে চন্দন পরালেন অভিনেতা। ঐন্দ্রিলার দু’পা ছুঁয়ে চুম্বনও করতে দেখা গেল সব্যসাচীকে। সব্যসাচী-ঐন্দ্রিলার শেষ যুগলবন্দি যে এভাবে সকলে চাক্ষুষ করবেন, তা বোধহয় কেউ ভাবেননি। তবে শেষবার সব্যসাচী ও ঐন্দ্রিলাকে এভাবেই দেখলেন তাদের ভক্তরা।
দু’বার মারণরোগের সঙ্গে লড়াই করে যেন ‘ফিনিক্স’ হয়ে ফিরেছিলেন ঐন্দ্রিলা। এই লড়াইয়ে তার সর্বক্ষণের সঙ্গী ছিলেন সব্যসাচী। গত ১ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে যখন হাওড়ার এক হাসপাতালে ভর্তি করানো হল ঐন্দ্রিলাকে, তখনও পাশে ছিলেন সব্যসাচী। সমাজমাধ্যমে ক্রমাগত ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খবর দিচ্ছিলেন। এমনকি, অলৌকিক কিছু যাতে ঘটে, তার জন্য প্রার্থনা করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি।