তারকাদের বেশিরভাগই ব্রাজিল সমর্থক, চঞ্চল-পরীমনিরা আর্জেন্টিনা

‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’—ক্রীড়াপ্রেমীদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত আসর ফিফা বিশ্বকাপ শুরু হচ্ছে আজ। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে বসছে ফুটবলের এই মহাযজ্ঞ। যেখানে বিশ্বের ৩২টি দেশ অংশ নিচ্ছে। খেলা শুরুর আগেই জমে উঠেছে ফুটবল বিশ্ব, অন্তর্জাল, সোশ্যাল মিডিয়া। এই উত্তেজনা-উন্মাদনার রেশ ছড়িয়ে পড়েছে বাংলাদেশেও।

শুধু সাধারণ মানুষই নয়, বিশ্বকাপ হাওয়ায় ভাসছেন শোবিজ তারকারাও। রীতিমতো প্রকাশ্যেই মেতে উঠেছেন তর্কে-বাকযুদ্ধে। নিজের দলের পক্ষে যেমন যুক্তি-ভালোবাসা জাহির করছেন, আবার অন্য দলের তিরস্কার করতেও ছাড়ছেন না। নীল-সাদা নাকি হলুদ, কোন রঙের জার্সিতে কোন তারকার ভালোবাসা মিশে আছে, সেই ভালোবাসার কথাই তুলে ধরেছেন রুম্মান রয়।

শাকিব খান

২০১৮ সালে একটি বক্তব্য প্রচারিত হয়। সেখানে শাকিবের বক্তব্য ছিল, ‘একসময় নিয়ম করে প্রতিদিন ফুটবল খেলতাম। এখান আর সেই সুযোগ হয় না। মাঠে খেলার সময় নিজেকে ম্যারাডোনা মনে করতাম। তার মতো ফুটবল খেলার চেষ্টা করতাম। তখন থেকেই আমি আর্জেন্টিনার সমর্থক। ২০২১ সালে কোপা আমেরিকা জয়ের পর শাকিব তার ফেসবুক পেইজে লিখেছিলেন,‘একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত স্বপ্ন, যা অর্জন করা ভীষণ প্রয়োজন ছিল। অভিনন্দন আর্জেন্টিনা এবং লিওনেল মেসি; অনেক দিন পর একটি আন্তর্জাতিক গৌরব অর্জন করায়। তবে ২০১৪ সালে দেশের একটি শীর্ষ ইংরেজি দৈনিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শাকিব বলেছিলেন তিনি ছোটবেলা থেকেই ব্রাজিলের সমর্থক। এবং সে বছর ব্রাজিল কাপ জিতবে। বলছিলেন এটাই সময়, ‘নেইমারের খেলা আমাকে সবচেয়ে বেশি মুগ্ধ করে। যদিও সেসবার আর্জেন্টিনা ফাইনালে পৌঁছে যায়। আর শাকিব খানের গায়ে দুই দলেরই জার্সি পাওয়া যায়। স্বাভাবিকভাবেই শাকিবের এসব বক্তব্য ও অবয়বে ভক্তরা দ্বিধান্বিত হয়ে যাচ্ছেন।

চঞ্চল চৌধুরী

অন্য অনেকের মতো দিয়াগো ম্যারাডোনার জাদুকরী ফুটবল খেলা দেখেই আর্জেন্টিনার পতাকাতলে ভিড়েছেন তিনি। যদিও সেই কিংবদন্তি বছর দুয়েক আগে চলে গেছেন না ফেরার দেশে। তাই ‘হ্যান্ড অব গড’ গোলের স্রষ্টাকে মিস করবেন চঞ্চল। তবে লিওনেল মেসির নেতৃত্বে এবারের আর্জেন্টিনা স্কোয়াড নিয়ে ভীষণ আশাবাদী তিনি।

জয়া আহসান

কাজের ফাঁকে ব্রাজিলের খেলা দেখতে ভুল করেন না দুই বাংলার জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। কারণ তিনি বরাবরই ব্রাজিলের সমর্থক। জয়া আশাবাদী, এবারের বিশ্বকাপ মিশনে পেলে-রোনাল্ডোর ঐতিহ্য ধরে রাখবেন নেইমার ও তার দল।

মৌসুমী-ওমর সানী দম্পতি

ভালোবাসায় এক হয়ে সংসার পেতেছেন তারা। ফুটবল উন্মাদনায়ও তারা এক। দু’জনেই ব্রাজিলের সমর্থক। এবারের বিশ্বকাপে নেইমারের হাতে ট্রফি দেখতে চান এই দম্পতি।

জাহিদ হাসান

আর্জেন্টিনার খেলায় নিজের ভালোলাগা খুঁজে পান এই নন্দিত অভিনেতা। তাই কাতার বিশ্বকাপে মেসিদের জয় চান তিনি। তবে মেসির পাশাপাশি ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, নেইমারদের খেলাও ভালো লাগে তার।

আরিফিন শুভ

শৈশব থেকে আর্জেন্টিনার ভক্ত ‘ঢাকা অ্যাটাক’ তারকা। দীর্ঘদিন ধরে একটি বিশ্বকাপের অপেক্ষায় আছেন। এবার সেই অপেক্ষার অবসান হবে বলে প্রত্যাশা তার।

অপু বিশ্বাস

ছোটবেলায় যখন খেলা বুঝতেন না, তখন থেকেই ব্রাজিলের সমর্থক তিনি। খেলা বোঝার পর হলুদ জার্সি পরা দলের নৈপুণ্যে মুগ্ধ অপু। কাতার বিশ্বকাপে এই দলের জয় চান ‘জয়’-এর মা।

পরীমনি

আর্জেন্টিনার খেলা এবং আচরণ সবার থেকে আলাদা লাগে পরীমনির। গাব্রিয়েল বাতিস্তুতা, হার্নান ক্রেসপো, পাবলো আইমার ছিলেন তার প্রথম ভালোবাসা। তাদের খেলা দেখে দারুণ মজা পেতেন। তারপর এলেন ফুটবল যাদুকর লিওনেল মেসি। তার ভক্ত হিসেবে তিনি বেশ আনন্দিত। মেসিই এখন তার সবচেয়ে পছন্দের খেলোয়াড়। এবার বিশ্বকাপ মেসির হাতে দেখতে চান পরীমনি।

নুসরাত ইমরোজ তিশা

বর্তমান ফুটবল বিশ্বে তার প্রিয় খেলোয়াড় মেসি। সুতরাং পছন্দের দলটি নীল-সাদা জার্সির। আগামী এক মাস তিনি এই দলের খেলা উপভোগ করবেন বিশেষ আগ্রহ নিয়ে।

নিরব

আর্জেন্টিনা দলের সক্রিয় ভক্ত তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই মেসি ও তার সৈন্যদের জন্য ভালোবাসা প্রকাশ করেন। কাতার বিশ্বকাপে এই দলের হাতেই ট্রফি দেখতে চান এ নায়ক।

পূজা চেরী

মায়ের কাছে ম্যারাডোনার কথা শুনে আর্জেন্টিনার প্রতি ভালোবাসা জন্মায় পূজার মনে। এরপর নিজে বড় হয়ে দেখতে পান মেসির বাঁ পায়ের জাদু। ব্যাস, পছন্দের দল বেছে নিতে অসুবিধা হয়নি তার। ফাইনালে মেসির মুখেই হাসিটা দেখবেন, এই প্রত্যাশা ‘পোড়ামন ২’ নায়িকার।

ইমরান

ছোটবেলা থেকেই আর্জেন্টিনার ভক্ত জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী। প্রিয় খেলোয়াড় মেসির প্রাপ্তির ঝুলিতে সবই দেখেছেন, শুধু একটি বিশ্বকাপ ছাড়া। এবার সেই অপূর্ণতা ঘুচিয়ে নেয়ার স্বপ্ন ইমরানের।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

সবসময় গল্প-নির্মাণে ব্যস্ত থাকলেও খেলা দেখতে বরাবরই ভালোবাসেন ফারুকী। ব্রাজিলের সক্রিয় ভক্ত তিনি। পেলের ঐতিহ্যে ঘেরা দলটিতে তার বর্তমান আস্থা নেইমারের ওপর। এর বাইরে আর্জেন্টিনার মেসির খেলাও ভালো লাগে এই ‘টেলিভিশন’ কারিগরের।

জিয়াউল ফারুক অপূর্ব

ছোট পর্দার এই তারকা খেলাপাগল। বিশ্বকাপের মাসে নিজের কাজের শিডিউল খুব ভেবে-চিন্তে করেন। যাতে প্রিয় দল ব্রাজিলের ম্যাচ কোনোভাবেই মিস না হয়। ব্রাজিলের মিশন হেক্সার সাফল্য কামনা করেছেন তিনি।

আসিফ আকবর

গায়ক হওয়ার আগে আসিফ মূলত খেলোয়াড় ছিলেন। তার আবেগে মিশে আছে ক্রীড়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়শই তিনি খেলাকেন্দ্রিক আলোচনায় মেতে ওঠেন। বিশ্বকাপে তার পছন্দের দল ব্রাজিল। মিশন হেক্সার পক্ষে থাকলেও আলাদা করে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর জন্য তার ভালোবাসা রয়েছে।

জায়েদ খান

ছোটবেলা থেকেই ম্যারাডোনার কারণে এই দলের প্রতি ভালোবাসা। এই দলের জার্সি ছাড়া কোনো দলের জার্সি কখনও গায়েও দেইনি। এবারের বিশ্বকাপে সুন্দর খেলা উপহার দেবে এটাই প্রত্যাশা।

বিদ্যা সিনহা মিম

‘দামাল’-এ স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পক্ষে ছিলেন। বিশ্বকাপে তার পছন্দ নেইমারের দল। পাঁচবারের বিশ্বকাপজয়ী দলের হাতেই স্বর্ণের ট্রফি উঠবে, এমন প্রত্যাশা মিমের।

সিয়াম আহমেদ

ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা যুদ্ধের বাইরেও অনেক তারকা আছেন। ২০০৭ সাল থেকে স্পেনের সমর্থক সিয়াম। ইউরোপের এই দলের জয় চান তিনি। তবে পাশাপাশি মেসির খেলাও পছন্দ সিয়ামের।

সাবিলা নূর

সাবিলা নূর ভালোবাসেন জার্মানির টিমওয়ার্ক। একতাবদ্ধ হয়ে দলটির লড়াই মুগ্ধ করে তাকে। তাই কাতার বিশ্বকাপে সাদা জার্সিতেই আনন্দ খুঁজবেন তিনি।