নড়াইল সদর উপজেলার আউড়িয়া ইউনিয়নের সড়াতলা গ্রামে আছিয়া বেগম নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে ও পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় স্বামী রনি শেখ ও তার বন্ধু প্রধান সহযোগী আব্বাস ফকিরসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে নড়াইলসহ পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। গত ৪ নভেম্বর দুপুরে স্বামী রনি শেখের পরকীয়ার বলি হন স্ত্রী আছিয়া।
চাঞ্চল্যকর আছিয়া হত্যার ঘটনায় পুলিশ প্রশাসন গুরুত্বের সঙ্গে অভিযান শুরু করে। তথ্যপ্রযুক্তিসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে আছিয়ার স্বামী রনি শেখকে কালিয়া থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এছাড়া রনির প্রধান সহযোগী তার বন্ধু একই গ্রামের জামির ফকিরের ছেলে আব্বাসকে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থেকে হত্যাকাণ্ডের ১৫ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে। এছাড়া ঘটনার পর রনির বাবা মো. লিটু শেখ এবং তার দুই ভাই ইমরান শেখ ও রুবেল শেখকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সাড়ে তিন বছর আগে সড়াতলা গ্রাামের রনি শেখের সঙ্গে একই গ্রামের এখলাছ শিকদারের মেয়ে আছিয়া বেগমের বিয়ে হয়। তাদের আড়াই বছরের একটি ছেলে সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, রনির অন্য মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিল। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে রনিদের বসতঘরের জানালা দিয়ে আগুন দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজন এসে আগুন নেভান। এরপর দেখা যায় বিছানায় আছিয়ার গলাকাটা ও পুড়ে যাওয়া মরদেহ।
নড়াইল সদর থানার ওসি মো. মাহমুদুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় মৃতের মা রেবেকা বেগম বাদী হয়ে ৮জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেছেন। এরই মধ্যে আসামি রনি ও আব্বাস আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
নড়াইল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোসা. সাদিরা খাতুন বলেন, পরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে থাকা আছিয়ার স্বামীসহ মামলার পাঁচ আসামিকে ঘটনার ১৫ ঘণ্টার মধ্যে নড়াইল জেলা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।