পদ্মা সেতু থেকে আটক ভারতীয় নাগরিক তারেক বাইন (৬০) গোপালগঞ্জে মারা গেছেন। রোববার (৩০ অক্টোবর) দিবাগত রাতে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু।
তারেক বাইন ভারতের বিহার রাজ্যের মরণ বাইনের ছেলে। গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে বন্দী ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. মুশফিক রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে গত বছরের ৮ জুলাই পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্ত থেকে সন্দেহজনক গতিবিধির কারণে তারেক বাইনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে। পরদিন ৯ জুলাই তাকে বাংলাদেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় শরীয়তপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ২০ জানুয়ারি তাকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে আনা হয়।
গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার মো. মুশফিক রহমান জানান, রোববার রাতে হঠাৎ তারেক বাইন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিক তাকে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করলে ঘণ্টাখানেক পর তিনি মারা যান। সব ধরনের আইনি প্রক্রিয়া শেষে কারা কর্তৃপক্ষ ভারতীয় হাইকমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে।
গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক অসিত কুমার মল্লিক বলেন, তারেক বাইন বিভিন্ন শারীরিক জটিলতায় ভুগছিলেন। গতকাল রাতে উচ্চ রক্তচাপ জনিত সমস্যা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মারা যান।