ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ব্রহ্মপুত্র নদের ডুবোচরে নৌযানে আটকে পড়েছিলেন ৮০ যাত্রী। বিষয়টি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল করে জানানো হলে তাদের উদ্ধার করা হয়।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে ৯৯৯-এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে এক কলার ফোন করে জানান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে তাদের নৌযান কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের তেলিপাড়া নামক স্থানে ডুবোচরে আটকে পড়েছে। নৌযানটিতে ৮০ জন যাত্রী রয়েছেন।
আজগর নামের ওই যাত্রী জানান, একটি ইঞ্জিনচালিত ট্রলারযোগে সোমবার বিকেল ৫টায় তারা দুজন মাঝি, নারী ও শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী কুড়িগ্রামের রৌমারি ঘাট থেকে চিলমারীর রমনাঘাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন। পথে রাত ৮টার দিকে তারা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কবলে পড়েন। এরপর তীব্র স্রোত ও দমকা হাওয়ায় তাদের নৌযান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভাসতে ভাসতে একটি ডুবোচরে আটকে যায়। পরে জানতে পারেন চরটির নাম তেলিপাড়া চর।
কলার জানান, বৃষ্টির মধ্যে নারী-শিশুসহ ৮০ জন যাত্রী দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে চরে আটকে আছেন। তিনি দ্রুত উদ্ধার সহায়তার জন্য ৯৯৯-এর কাছে অনুরোধ জানান।
আনোয়ার সাত্তার বলেন, ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল ইমাম হোসেন কলটি রিসিভ করেছিলেন। কনস্টেবল ইমাম তাৎক্ষণিক বিষয়টি নৌ পুলিশ নিয়ন্ত্রণ কক্ষ এবং চিলমারী থানাকে জানিয়ে দ্রুত উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানান। পরে ৯৯৯ ডিস্পাচার এসআই জহুরুল ইসলাম কলার এবং সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করে উদ্ধার তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন।
৯৯৯ থেকে সংবাদ পেয়ে চিলমারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতিকুর রহমান চিলমারী উপজেলার ইউএনও এবং চিলমারী রমনাঘাটের বিআইডব্লিউটিএ’র ইজারাদারকে জানিয়ে উদ্ধারকারী নৌযানের ব্যবস্থা করার অনুরোধ জানান। পরে রমনাঘাট থেকে একটি উদ্ধারকারী নৌযান চিলমারী থানার উদ্ধারকারী পুলিশ দলসহ দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে রওনা দিয়ে রাত সোয়া ১০টার দিকে চরে আটকেপড়া যাত্রীদের কোনো ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যায়। পরে আবহাওয়া শান্ত হলে মঙ্গলবার ভোর ৫টায় উদ্ধার যাত্রীদের রমনাঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়।