ভারতের তামিল চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেতা বাবলু পৃথ্বীরাজ। অভিনয়ের গুণে তিনি বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি দ্বিতীয়বার গাঁটছড়া বেঁধেছেন। বাবুলের দ্বিতীয় স্ত্রী তাঁর থেকে ৩৩ বছরের ছোট।
আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। নেটিজেনরা বিতর্কেও মেতেছে এই নিয়ে। তবে বাবুল বলছেন তাঁর স্ত্রীর বয়স ২৩ নয় ২৪।
৫৬ বছর বয়সী অভিনেতা বিয়ে করেছেন একজন ২৩ বছর বয়সী মালয়াশিয়ান তরুণীকে। বিয়ে অনেকটাই গোপনেই করেছেন বাবুল। এর কারণ হিসেবে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে বাবুল গোপনীয়তা রেখেছেন- কেননা এই খবর প্রকাশ পেলে তাঁর বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। মালয়েশিয়া থেকে বিয়ে করেই ভারতে ফিরেছেন অভিনেতা।
বাবুল বলছেন, ‘আমি ৫৬ বছর বয়সী এক মানুষ এবং সে মাত্র ২৪। তারপরেও সে আমাকে বিয়ে করার জন্য প্রস্তুত। আমি দেরি করেছি, তবুও সে আমাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত অনড় এবং তার পরিবারকেও রাজি করিয়েছে। কেউ জানে কখন কোন কে কার প্রেমে পড়ে। ’
তামিল সিরিয়াল হোক বা সিনেমা নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয়ের জন্যে তিনি বেশি খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। ১৯৯৪ সালে বাবলু পৃথ্বীরাজ বীনাকে বিয়ে করেছিলেন। এই দম্পতির আহেদ নামে একটি ছেলেও রয়েছে। ছেলের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণে তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনে বাধার সৃষ্টি হয়। সেই কারণে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
বর্ষীয়ান অভিনেতা বাবলু পৃথ্বীরাজ শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্র জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। ১৯৭১ সালে তামিল চলচ্চিত্র নাঙ্গু সুভারগালের মাধ্যমে তিনি তামিল বড় পর্দায় অভিষিক্ত হন। শিশুশিল্পী হিসেবে বাবলুর সেরা কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে, নালাই নামধে এবং নান ভাজাভাইপেনের মতো জনপ্রিয় চলচ্চিত্র। এরপর বিরতি নিয়েছিলেন।
১৯৮০ দশকে একজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিনেতা হিসাবে পুনঃপ্রবেশ করেছিলেন। ৮০-এর দশক থেকে ২০০০-এর দশক পর্যন্ত অনেক তামিল, তেলেগু, মালয়ালম এবং কন্নড় চলচ্চিত্রে একজন নেতৃস্থানীয় ব্যক্তি, সমর্থক অভিনেতা এবং বিরোধী অভিনেতা হিসাবে উপস্থিত হয়েছিলেন।
১৯৯৮-এ মুক্তিপ্রাপ্ত আভাল ভারুভালা চলচ্চিত্রে, অজিথ কুমার এবং সিমরানের পাশাপাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেন। তাঁর অভিনয় বেশ প্রশংসনীয় ছিল। পরবর্তীতে, তিনি আরাসি এবং বাণী রানির মতো কিছু ব্লকবাস্টার সিরিয়ালে অভিনয় করেছিলেন। এছাড়াও তিনি কয়েকটি তামিল শোতে হোস্টও করেছিলেন।