উপকূলীয় অঞ্চলের ৩ বিমানবন্দর বন্ধ

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ এর প্রভাবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সোমবার সন্ধ্যা থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের ৩ বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আবহাওয়ার পরিস্থিতি উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর।

ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরও ঘনীভূত হয়ে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে।

ইতোমধ্যে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, সোমবার রাতে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা থেকে দেশের উপকূলীয় অঞ্চলের এ ৩ বিমানবন্দর বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বেবিচক।

বেবিচক সূত্র জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি হিসেবে দেশের বিমানবন্দরের এপ্রোন এলাকার হালকা যন্ত্রপাতি সরিয়ে রাখা হচ্ছে। এয়ারলাইনগুলোকেও তাদের যন্ত্রপাতি নিরপদ স্থানে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে ঝড়ে কোনও যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

এদিকে দেশি এয়ারলাইনগুলো ঘূর্ণিঝড়ের প্রস্তুতি নিয়েছে। আগাম প্রস্তুতি হিসেবে এরই মধ্যে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়েছে নভোএয়ার। বিকাল থেকে কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের ফ্লাইট বাতিল করেছে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, সাগর আরও বেশি উত্তাল হয়ে ওঠায় মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়াও চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরগুলোকেও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদস্য (পরিচালনা ও পরিকল্পনা) এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী জানান, আবহাওয়ার পরিস্থিতি বিবেচনায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিমানবন্দর সন্ধ্যা থেকে বন্ধ রাখা হবে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার ভোরে বা সকাল নাগাদ পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার পাশ দিয়ে দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।