সকল আশঙ্কাকে সত্যি করে বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং। সৃষ্ট এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ইতিমধ্যে দেশের উপকূলীয় ১৯টি জেলা ঝুঁকিতে রয়েছে। গত তিন বছরে যে ঘূর্ণিঝড়গুলো হয়েছে তার চেয়ে এটার কভারেজ এরিয়া বা আঘাত হানার এরিয়া অনেক বেশি ব্যাপক। আজ রোববার (২৩ অক্টোবর) ঘূর্ণিঝড় বিষয়ে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান।
ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকিতে থাকা জেলাগুলো হচ্ছে- ১. খুলনা, ২. সাতক্ষীরা, ৩. বাগেরহাট, ৪. পটুয়াখালী, ৫. বরগুনা, ৬. ভােলা, ৭. পিরােজপুর, ৮. বরিশাল, ৯. ঝালকাঠি, ১০. নােয়াখালী, ১১. লক্ষ্মীপুর, ১২. ফেনী, ১৩. চাঁদপুর, ১৪. চট্টগ্রাম, ১৫. কক্সবাজার, ১৬. ফরিদপুর ১৭. মাদারীপুর, ১৮. গােপালগঞ্জ ১৯. শরীয়তপুর।
প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, ‘ঝড়টির সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী অবস্থান হলো ৮৮. ৫ দ্রাঘিমাংশ এবং ১৬ অক্ষাংশ। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এটি ৮৭ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ এবং ১৭ ডিগ্রি অক্ষাংশের সংযোগস্থলে পৌঁছার পর সরাসরি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন নিতে পারে।
যদি উত্তর-পূর্ব দিকে টার্ন করে তাহলে যে গতিপথ দেখানো হয়েছে এটি একেবারে কক্সবাজার থেকে সাতক্ষীরা উপকূলীয় ১৯টি জেলাতে আঘাত হানতে পারে।’ এটা সুপার সাইক্লোন হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এটা সিভিআর সাইক্লোন পর্যন্ত হবে। এটার গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ থেকে ১১০ কিলোমিটার হবে।’