মুক্তিযোদ্ধা কোটার সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে স্বামীকে ভাই বানানো এক গৃহবধূ আটক হয়েছেন।
সোমবার কুড়িগ্রামের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. মজনু মিয়ার আদালতে মিথ্যা তথ্য দিয়ে হলফ নামার মাধ্যমে মা-বাবার নাম বদল করতে গিয়ে তিনি আটক হন।
সোনালী খাতুন নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী লিয়াকত আলী বাদী হয়ে একই দিন গৃহবধূ সোনালী খাতুন, উলিপুর পৌরসভার নিকাহ রেজিস্টার নুরুল হুদা এবং নাগেশ্বরী উপজেলার সন্তোষপুর ইউপি চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী লাকুকে আসামি করে কুড়িগ্রাম সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা যায়, গত পাঁচ অক্টোবর সোনালী খাতুন তার প্রকৃত মা-বাবার নাম উল্লেখ করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন থেকে একটি জন্ম নিবন্ধন সনদ নেন। সেই সনদ দিয়ে তিনি আদালতে ভুল বসত তার শ্বশুর-শাশুড়িকে এনআইডিতে মা-বাবা হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে জানিয়ে এফিডেফিটের মাধ্যমে আদালতে সংশোধনের আবেদন করেন। তার দেয়া সরকারি কাগজপত্রে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় আদালত তাকে পুলিশে সোপর্দ করেন।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালতে সোনালী খাতুনকে তোলা হয়। বিচারক ১৬৪ ধারা তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন।